ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে দেশের ২০০ স্কুলের ৪ হাজার পড়ুয়াকে নিয়ে সমীক্ষা, কী বলছে পড়ুয়ারা?
৯২ শতাংশ স্কুল পড়ুয়াই মনে করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সোশ্যাল মিডিয়া। ৮২ শতাংশ স্কুল পড়ুয়া জানাচ্ছে, তাদের মতামত, চিন্তাধারা বা মনোভাব সোশ্যাল মিডিয়া দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। আর ৯৪ শতাংশ পড়ুয়া মনে করে, যে কোনও সামাজিক বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার জুড়ি মেলা ভার।
বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ফর্টিসের উদ্যোগে সম্প্রতি দেশজুড়ে এক সমীক্ষা চালানো হয়। সারা দেশের ২০০ র বেশি স্কুলে প্রায় ৪ হাজার পড়ুয়ার ওপর এই সমীক্ষায় জানার চেষ্টা করা হয়, তাদের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ও গুরুত্ব কতখানি। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে তাদের মূল্যায়নই বা কী।
৯২ শতাংশ পড়ুয়া মনে করে, সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক দিক আছে। ৯৩ শতাংশ স্কুল পড়ুয়া বলছে, নানা অবাঞ্ছিত ও নেতিবাচক জিনিস যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, যার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে, সে সব দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে সোশ্যাল মিডিয়া।
ফর্টিসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার হাতছানি এড়াতে পারছে না সিংহভাগ স্কুল পড়ুয়া। ২৪ ঘন্টার অনেকটা সময় তারা ব্যয় করছে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট স্ক্রোলিং, লাইক, শেয়ার বা কমেন্টে। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ৭৮ শতাংশ স্কুল পড়ুয়া দিনের একটা বড় অংশ কাটায় ফেসবুক, ট্যুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। আর সমীক্ষকদের মত, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে অভিভাবকদের শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। তাতে পড়ুয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সম্যক ধারণা হবে অভিভাবকদের। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অভিভাবকদের অভিজ্ঞতা থাকলে তাঁরা সন্তানদেরও বোঝাতে সক্ষম হবেন, ঠিক কতটা সময় তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো উচিত এবং কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ইতিবাচক ও গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করা যায়।
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে উঠে এসেছে, ৮২ শতাংশ পড়ুয়া স্বীকার করেছে, কোনও বিষয়ে তাদের মতামত, ধ্যান-ধারণা বা নিজস্ব আচরণেও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার গভীর ও নিবিড় প্রভাব। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য চালাচালি হয় বা পোস্ট করা হয় তার সঠিক মূল্যায়নও জরুরি বলে মনে করে ৯৬ শতাংশ ছাত্রছাত্রী।
দিল্লি, মুম্বই, মোহালি, লুধিয়ানা, জয়পুর, বেঙ্গালরু, লখনউ, বারাণসী, দেহরাদুন ও চেন্নাই, এই ১০ টি শহরের প্রায় ২০০ স্কুলে সমীক্ষা চালিয়ে জানা গিয়েছে, ৯৪ শতাংশ পড়ুয়া মনে করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেতে পারে। যা ভীষণই ভালো দিক বলে মনে করছেন সমীক্ষকেরা। তাঁদের মতে, এতে পড়ুয়াদের বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়বে।
Comments are closed.