দু’জনেই বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। ২২-এর পুর নির্বাচনে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। দুই হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের পরেই জল্পনা দেখা দিয়েছে বিধাননগরের মেয়র মুখ নিয়ে। সব্যসাচী বিজেপি’তে যাওয়ার পরে বিধানগরের মেয়র হয়েছিলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
শনিবার জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই কালীঘাটের দিকে রওনা দেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি প্রথমে গিয়ে দেখা করেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে। তারপরে ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি হয়ে যান অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই অভিষেকের সঙ্গে তাঁকে বেশ কিছুক্ষন কথা বলতে দেখা যায়। মেয়র প্রসঙ্গে সব্যসাচীকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, চেয়ারে যে কেউ বসুন, মেয়র মমতা ব্যানার্জিই। ‘কালীঘাট সাক্ষাৎ’ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, প্রতিবারেই জয়ের পরে দিদির আশীর্বাদ নিতে আসি। এটা নতুন কোনও বিষয় নিয়।
এদিকে এদিন একটু বেলা বাড়তেই দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কালীঘাটে দেখা করতে যান বিধানগরের আরেক প্রাক্তন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কী কথা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু না বললেও, মেয়র মুখ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, মমতা ব্যানার্জিই শেষ কথা বলবেন। সাংবাদিকদের এদিন তিনি বলেন, দিদি যা দায়িত্ব দেবে মাথা পেতে নেব। উনি যদি ঝান্ডা হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন, তাই করব।
বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সব্যসাচী।অনেকের মতে মেয়র পদের দৌড়ে ‘দলত্যাগ’ কাঁটা হতে পারে। আবার এক পক্ষের মতে খোদ মমতা ব্যানার্জির অনুমোদনেই তৃণমূলে ফিরতে পেরেছেন সব্যসাচী। সেক্ষেত্রে তিনি এক প্রকার মমতা ব্যানার্জির সু’নজরেই রয়েছেন। এদিকে সব্যসাচি দলত্যাগের পর মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মমতা ব্যানার্জি যাদবপুর কেন্দ্র হেকে যখন প্রথম সাংসদ হন সে’সময় থেকে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গী তিনি। দলের একাংশের মতে, দলের ‘খারাপ’ সময়ের সঙ্গী কৃষ্ণা এবং মেয়রের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। এখন দেখার হেভিওয়েট এই দুই রাজনীতিকের মধ্যে শেষ হাসি কে হাসেন।
Comments are closed.