টালা ব্রিজে আর বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। স্পিড লিমিট পেরোলেই গুণতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। সেই ব্যবস্থাই করছে লালবাজার। খুব শীঘ্রই নব নির্মিত টালা ব্রিজে স্পিড ডিডেকশন ক্যামেরা বসাতে চলছে ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট। জানা গিয়েছে, ব্রিজে ওঠার দু’মুখে ওই ক্যামেরাগুলো বসানো হবে। আগামী মাসের মধ্যেই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে।
বেপরোয়া গতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের প্রায় সব উড়ালপুলেই এই ধরণের ক্যামেরা বসানো রয়েছে। শুরুর দিকে মা উড়াল পুলেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে অতিরিক্ত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে। তবে ক্যামেরা বসানোর পর তার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এমনিতেই দ্রুত গতির গাড়ি দেখলে পুলিশ কর্মীরাই ব্যবস্থা নেন। তবে অনেক সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে অনেকেই কার্যত ঝড়ের গতিতে গাড়ি চালায়। বিশেষ করে রাতের দিকে যখন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা কম থাকে, তখন এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে এই স্পিড ডিডেশন ক্যামেরাগুলো বড় ভূমিকা নেয়। কোনও গাড়ি স্পিড লিমিট ক্রস করলেই ক্যামেরাগুলোতে সেই গাড়ির নাম্বার প্লেটের ছবি উঠে যায়। এবং অনালাইনেই গাড়ির মালিককে বিরুদ্ধে ফাইন করা সহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পুরোনো টালা সেতু ভেঙে চার লেনের ব্রিজ তৈরি হয়েছে। ব্রিজে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ৬ জন পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ১৮টি ক্যামেরা। বেপরোয়া গতির যানবাহনকে বাগে আনতেই এ ধরণের বিশেষ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানাল লালবাজার।
Comments are closed.