চিট ফান্ড রোজভ্যালি কাণ্ডে সিনেমা প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর কসবার অফিসে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে তাঁকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুক্রবারই শ্রীকান্ত মোহতাকে কোর্টে তোলার জন্য ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
সিবিআই জানিয়েছে, রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু জেরার সময় প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ ও মোটা টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন। গৌতম কুণ্ডুর অভিযোগ ছিল, শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমা দেখানোর কথা ছিল তাঁর চ্যানেলে। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২৫ কোটি টাকাও নিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। চুক্তি অনুযায়ী সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত এবং বক্স অফিসে হিট ছবিও রোজভ্যালির চ্যানেলকে দেওয়ার কথা ছিল শ্রীকান্ত মোহতার। কিন্তু গৌতমের অভিযোগ, শ্রীকান্ত মোহতা পুরনো এবং ফ্লপ ছবি দেন। এভাবে মোটা টাকা প্রতারণা করেন তিনি। সেই টাকা ফেরত চাইলে শ্রীকান্ত মোহতা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম নিয়ে গৌতম কুণ্ডুকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে আগে বেশ কয়েকবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল শ্রীকান্ত মোহতাকে।
সূত্রের খবর, এই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাতে কলকাতায় সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি ও অফিসে হানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই অফিসাররা। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে তাঁর বাড়িতে ও পরে কসবার অফিসে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের অফিসে তাঁরা হাজির হন। শ্রীকান্তের অফিসে ঢুকতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বাধা দেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে কসবা থানায় ফোন করেন শ্রীকান্ত মোহতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। পরে থানায় রিক্যুইজিশন দেওয়ার পরে শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা শুরু করেন সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু শ্রীকান্ত মোহতা তদন্তে বাধা দিলে তাঁকে আটক করে দুপুর ৩ টে নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
Comments are closed.