জটিল অপারেশন করে ফের নজির গড়ল এসএসকেএম হাসপাতাল। এক যুবকের মুখের ভিতর ঢুকে গিয়েছিল লোহার রড। সেটা টাগরা ফুটো করে চলে গিয়েছিল মস্তিষ্ক পর্যন্ত। কোনও খাবার খেতে পারছিলেন না তিনি। অনবরত রক্ত পড়েই যাচ্ছিল। ভালো করে কথাও বলতে পারছিলেন না। এসএসকেএম হাসপাতাল প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টার চেষ্টায় জটিল অপারেশন করে বছর ৩৪ এর ওই যুবকের প্রাণ ফিরিয়ে দেয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি সমীরণ সর্দার। বারুইপুরে একটি বাড়ি তৈরির সময় তিনি খুঁড়ে রাখা এক গর্তে পড়ে যান। গর্তের পাশেই বেরিয়ে ছিল লোহার রড। সেই রড বিঁধে যায় তাঁর মুখের ভিতরে। প্রাথমিক অবস্থায় রড বের করে ফেলেন ওই এলাকায় কর্মরত অন্যান্য রাজমিস্ত্রিরা। এরপর তাঁকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএমে। এই বিষয়ে হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, লোহার রড টাগরা ফুটো করে দুটি সাইনাসের মধ্যবর্তী একটি নরম হাড় ভেদ করে। ওই রড সহজেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারতো। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পায় মস্তিষ্ক। চিকিৎসক অরিন্দম সরকারের নেতৃত্বে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সৌম্য গায়েন, মনোরঞ্জন সাউ, শারণ অ্যালেক্স, নেহা আগারওয়াল, রূপল নন্দারের দল অপারেশন করেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর এখন সুস্থ রয়েছেন রোগী। ভারী খাবার খেতে না পারলেও তরল খাবার খাচ্ছেন তিনি। আস্তে আস্তে কথাও বলছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Comments are closed.