দাগী অপরাধী ডাক্তার কাফিল খান! যোগী রাজ্যের পুলিশের আজীবন নজরদারিতে চিকিৎসক

যোগী রাজ্যে ৮১ জন দাগী অপরাধীর তালিকা প্রকাশ হয়েছে, প্রথম ১০ এ নাম কাফিল খানের

গোরক্ষপুরে সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যু থেকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী সভায় উসকানিমূলক মন্তব্য। উঠে এসেছিল একটাই নাম, কাফিল খান। এবার এই চিকিৎসকের ওপর আজীবন নজরদারি চালাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সম্প্রতি যোগী প্রশাসন ৮১ জন দাগী অপরাধীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে নাম রয়েছে কাফিল খানের।

গোরক্ষপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার যোগেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিজের নাম দুষ্কৃতী তালিকায় দেখে কাফিল আক্ষেপ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আসল অপরাধীরা গোপনেই থাকে, সরকারি খাতায় নাম ওঠে শুধু নিরীহদের। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে ২৪ ঘণ্টার জন্য দুজন নিরাপত্তা রক্ষী চেয়েছেন কাফিল।

এই বিষয়ে কাফিলের ভাই আদিল খান জানিয়েছেন, গত বছর জুন মাসেই কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের তালিকায় নাম উঠেছিল কাফিলের। যা সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে।

২০১৭ সালে গোরক্ষপুর বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে কমপক্ষে ৬০ শিশুর মৃত্যু হয়। সেইসময় নিজের ক্লিনিক থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেছিলেন কাফিল বলে দাবী। কিন্তু পরে যোগীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কাফিল। যোগী প্রশাসনের সঙ্গে কাফিলের সংঘাতের সূত্রপাত সেই থেকেই।

২০১৯ সালের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী সভায় উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে ফের গ্রেফতার হন বিতর্কিত এই চিকিৎসক। ২০২০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এবার সরাসরি অপরাধীদের সরকারি খাতায় নাম উঠল তাঁর। যার জেরে আজীবন থাকতে হবে পুলিশি নজরদারির মধ্যে।

Comments are closed.