ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আছড়ে পড়ার আগে জোরদার প্রস্তুতি রাজ্য প্রশাসনের
গোটা পরিকল্পনা-রুপায়নের উপর কড়া নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী
টাওতের পর যশ। ২৭ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে পরিবর্তিত হয়ে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে চলেছে, বলে আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস।
এক বছর আগে দক্ষিণবঙ্গের উপর আছড়ে পড়েছিল আমফান। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কলকাতাও। এক বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতির কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই যশ-দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। গোটা পরিকল্পনা-রুপায়নের উপর কড়া নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার কলকাতা পুরসভায় আপৎকালীন বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। বৈঠকে স্থির হয়, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ, জল নিকাশি ইত্যাদি বিভাগকে যাবতীয় প্রস্তুতি আগে থেকেই সেরে রাখতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে ২১ মে থেকেই সেই সব কাজ শুরু হবে।
অন্যদিকে, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। সেখানে বলা হয়েছে, জেলার ১০৫টি সাইক্লোন শেল্টারকে ২৩ মের মধ্যে প্রস্তুত রাখতে হবে। তেমনই পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত করে রাখার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও কাকদ্বীপ ও ক্যানিংয়ে দুটি কুইক রেসপন্স টিম রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা শাসক। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক সাইক্লোন শেল্টারের সঙ্গে হাসপাতাল ট্যাগ করে রাখতে হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’এর অভিমুখ কোনদিকে, তা এখনও অস্পষ্ট। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারের আগে তা জানানো অসম্ভব। কিন্তু বিলম্ব না করে দুর্যোগ মোকাবিলায় আগেভাগেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিল প্রশাসন।
Comments are closed.