আগামী দিনে কোন পথে চলবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল? আন্দোলনের অভিমুখই বা কী হবে, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার হেস্টিংসে সাংগাঠনিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি। নব নির্বাচিত সদস্যরা প্রায় সকলেই বৈঠকে হাজির থাকলেও ছিলেন না মুকুল রায়, রাজীব ব্যানার্জিরা। মোদী-শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে শুভেন্দু দিল্লি গেছেন।
মূলত ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির সংঘঠন নিয়েই বৈঠকে কথা হয়। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নামলেও ফল প্রকাশের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। সোনালী গুহ, সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাসেরা পুনরায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন। ভবিষ্যতেও এই প্রবণতা বজায় থাকবে বলে মনে করছে গেরুয়া ব্রিগেডের একটি অংশ। বৈঠকে এই বিষয়ে কী কথা হয় তা দেখার।
অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। উঠে এসেছে ‘সাজানো বিক্ষোভের’ তত্ত্ব। বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।
বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব ব্যানার্জিও। ভোটের মুখে রাজীব ব্যানার্জিকে রাজ্যস্তরের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই দেখা গিয়েছিল। ভোটে হারার পর থেকে তাঁকে আর দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে খোদ বিজেপি শিবিরে।
সব মিলিয়ে রাজ্য বিজেপির বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অনুপস্থিত একাধিক নেতা। যা জল্পনায় অক্সিজেন জোগাতে যথেষ্ট বলেই মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা।
Comments are closed.