দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারেরে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে চলেছে সোমবার। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে এই বাজেটে আগামী এক বছরে উন্নয়নের অভিমুখ কী হবে তা পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যদিও ২০২১ সালের আগে আরও একটি বাজেট পেশের সুযোগ থাকছে।
শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে মন্দার জন্য জিএসটি বাবদ আয় বিশেষ বাড়বে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে ২০২০-২১ সালের বাজেটে বিপুল পরিমাণ জিএসটি আদায়ের প্রস্তাব রাখতে পারেন অর্থমন্ত্রী। গত বাজেটে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সামাল দিতে এবং রাজ্যের ঋণের সুদ দিতে বাজার থেকে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নিতে হয়েছে।
দেশজুড়ে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, সেখানে এ রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থানের উপযোগী বাজেট পেশ মূল লক্ষ্য বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কর্মসংস্থান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে এই বাজেটে।
এছাড়া বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সাহায্য, এনআরসি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় নেমে মৃত্যু, এই বিষয়েও সরকারি পদক্ষেপের কথা শোনা যেতে পারে সোমবারের বাজেটে।
এদিকে সরকারি কর্মীরা আবার এক কিস্তি ডিএ- এর প্রত্যাশা করছেন। বর্ধিত বেতনের বাড়তি চাপ সামলে ডিএ দেওয়া, রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প নিয়ে অর্থমন্ত্রী কী ঘোষণা করেন সেদিকেও চোখ থাকবে সবার।
নবান্ন সূত্রে খবর, ২০২০-২১ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আয়কর ও কর্পোরেট করের প্রাপ্য প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় অনুদান মেলার সম্ভাবনা আরও ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া জিএসটির মাধ্যমে রাজ্যের আয় বাড়ানোর পথে যেতে পারে রাজ্য সরকার। রাজকোষে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রেখে বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে এই বাজেটে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাও দেখার।
Comments are closed.