সরকারি হাসপাতালগুলিতে অযথা রোগী রেফার ঠেকাতে তৎপর রাজ্য সরকার। ওই সব হাসপাতালগুলিতে কড়া নোটিশ পাঠিয়েছে নবান্ন বলে জানা গিয়েছে। কয়েকমাস আগে রোগীদের রেফার আটকাতে স্বাস্থ্যভবন জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ১৩ টি হাসপাতালে রোগী রেফরের হার ৭ শতাংশের বেশি।
এইসব হাসপাতালগুলি হল,উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল, নৈহাটি মহকুমা হাসপাতাল, হাওড়ার বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লোস্টার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পানিহাটি মহকুমা হাসপাতাল, বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা হাসপাতাল, মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতাল, বাঁকুড়ার খাতরা মহকুমা হাসপাতাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল, জলপাইগুড়ির মাল মহকুমা হাসপাতাল, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতাল, কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল। বিশেষ সমীক্ষায় এই খবর প্রকাশ পেতেই হাসপাতালগুলিতে রেফারের হার কমানোর জন্য সুপার ও সংশ্লিষ্ট জেলা আধিকারিকদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আগেই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা হাসপাতালে করতে হবে। এরপর খুব প্রয়োজন হলেই হাসপাতালগুলি রোগী রেফার করার সিদ্ধান্ত নেবে। কয়েক সপ্তাহ আগের একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছি, সব মিলিয়ে ৯০টি হাসপাতালের মধ্যে ২১টিতেই রেফরের হার ছিল ২৩ শতাংশ। প্রতি দশে একজন রোগীকে রেফার করা হচ্ছিল। স্বাস্থ্যভবন জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
Comments are closed.