বাড়ি ভাঙ্গায় ২০ হাজার, গবাদি পশুর জন্য ৩০ হাজার, যশের ত্রাণে কোথায় কত ক্ষতিপূরণ?
মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে দুয়ারে ত্রাণ ঘোষণা
সাধ্য অনুযায়ী ত্রাণ দেওয়া হবে কারও সঙ্গে বৈষম্য করা হবে না। বৃহস্পতিবার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে দুয়ারে ত্রাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
প্রাথমিক তথ্য বলছে, যশের দাপটে রাজ্যে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুনর্গঠনের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আপাতত ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
২৭ মে দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে নবান্ন থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, কোন বিভাগ, কোন ত্রাণের দিক দেখাশোনা করবে এবং মানুষ কোন খাতে, কত টাকা ত্রাণ হিসেবে পাবেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে সরকারি সাহায্যের আবেদন করতে পারবেন। এরপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন সমস্ত আবেদন পত্র যাচাইয়ের কাজ চলবে। ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই, এই ৮ দিন ধরে যশে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ডে সরাসরি ত্রাণের টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।
ঘূর্ণিঝড় যশের প্রকোপে যে সমস্ত চাষিদের ফসল নষ্ট হয়েছে তাঁদের ত্রাণ-তহবিলের দেখাশোনা করবে রাজ্য কৃষি দফতর। কৃষি খাতে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা কমপক্ষে ১ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ টাকা পাবেন।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আওতায় রয়েছে বাড়িঘর মেরামতির দায়িত্ব। যে বাড়ি সম্পূর্ণ বিধবস্থ হয়েছে তাঁরা পাবেন ২০ হাজার টাকা এবং যাদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে তাঁরা পাবেন ৫ হাজার টাকা।
দূর্যোগ ও বন্যার কারণে অনেক গৃহপালিত পশু মারা গেছে। এই খাতে ত্রাণের টাকা কিভাবে বন্টন করা হবে, তাঁর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রানী সম্পদ বিকাশ দফতরকে। যাদের মহিষ কিংবা গরু মারা গেছে তাঁরা ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা। যাদের ছাগল, ভেড়া, শুয়োর জলের তোরে ভেসে গেছে তাঁরা পাবে ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও মালবাহী পশুর মহিষের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং বাছুরের জন্য ১৬ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন পানের বরজ। পান চাষিদের ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে সরকারের তরফে।
Comments are closed.