আড়াই বছর পর স্কুল শিক্ষকদের মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু করল শিক্ষা দপ্তর। অনলাইনে, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমেই চলবে এই বদলি প্রক্রিয়া। গত ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, শুক্রবার তা প্রকাশ্যে আনা হয়। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, জেনারেল ট্রান্সফার বা আবেদনের ভিত্তিতে বদলি ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং, নিয়োগ এবং ১০ শতাংশ শূন্যপদে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া চলবে।
শূন্যপদের হিসেবে যাতে গণ্ডগোল না হয়, তার জন্য জেনারেল ট্রান্সফার বন্ধ থাকছে।
এতদিন বাদে মিউচুয়াল ট্রান্সফার ফের চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষকরা। শুক্রবার থেকেই তাঁরা আবেদন জানাতে শুরু করেছেন। তবে অনেকের দাবি, মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য উপযুক্ত অপর প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও আধিকারিকদের বক্তব্য, সবাই আবেদন করলে অন্য ক্যান্ডিডেট পাওয়ার সমস্যা থাকবে না। আপস বদলির ক্ষেত্রেও জেনারেল ট্রান্সফারের মতো পাঁচ বছরের ‘লক-ইন পিরিয়ড’ রয়েছে।
শিক্ষক সংগঠনগুলি এই শর্ত তুলে দেওয়ার পক্ষে। তারা চাইছে, সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে এই সুযোগ দেওয়া হোক। অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই জানান, শুক্রবারও শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের লক-ইন পিরিয়ড তুলে দেওয়া, সবার প্রোফাইল আনলক করা (যাতে তাঁরা আবেদন জানাতে পারেন) এবং সেকশনের সমস্যা দূর করা (যাতে জেনারেল সেকশন জুনিয়র হাই এবং হাইস্কুলের শিক্ষকরা একে অপরের সঙ্গে আপস বদলি করতে পারেন) প্রভৃতি দাবিগুলি রাখা হয়। মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের বদলি হিসেবে সমযোগ্যতার আর একজন স্কুলে আসেন। ফলে স্কুল বা পড়ুয়াদের ক্ষতি হয় না। সেই কারণে এই সুযোগ শিক্ষকদের যাতে একাধিকবার দেওয়া হয়, সেই দাবিও রাখা হয়েছে।
Comments are closed.