আচমকা বন্ধ কেরোসিন সরবরাহ, বিপর্যয়ের মুখে বাংলার রেশন ব্যবস্থা
রেশনের কেরোসিন তেল সরবরাহ বন্ধ। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিভিন্ন তেলের ডিপো থেকে কেরোসিন সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে বলে, খবর। এর আগে ১১ ফেব্র্রুয়ারি তেল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। দিন তিনেক আগে চলতি মাসের সরবরাহ শুরু হয়েছিল।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক প্রতি তিনমাসের জন্য রাজ্যপিছু কেরো সিন তেল বরাদ্দ করে। সেই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন সংস্থা ডিপো গুলি থেকে তেল সরবরাহ করে। বজবজ, হলদিয়া, নিউ জলপাইগুড়ি, মৌড়িগ্রাম, রাজবাঁধ, মালদহ ডিপো থেকে ডিষ্ট্রিবিউটাররা তেল নিয়ে যানা টেঙ্কারে। সেখান থেকে পাঠানো হয় ডিলারদের কাছে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য।
[আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ৫০ টাকা বাড়ল গ্যাসের দাম, সেঞ্চুরির পথে পেট্রোল]
জানা গিয়েছে ট্যাঙ্কারে তেল ভরার সময় মাঝপথেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে কেরোসিন ট্যাঙ্কার গুলি ডিপোতে ঢুকে গিয়েছিল তাও ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।খাদ্য দপ্তরের কনজিউমার গুডসের ডেপুটি ডিরেক্টরের তরফে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে তেল সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণ। সংস্থাগুলি থেকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে কেরোসিন তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ করার জন্য সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। যদিও সংস্থাগুলির এই যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ, প্রতি মাসের শুরুতেই সংস্থা গুলির তরফে কেরোসিনের ইস্যু প্রাইস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। সেক্ষত্রে মাসের মাঝখানে এভাবে তেল সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ডিলার, ডিষ্ট্রিবিউটারদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই কেরোসিন সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্টেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস জোয়ারদার জানিয়েছেন, কেরোসিন সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি তাঁরা পেট্রোলিয়াম মন্ত্রককে জানিয়েছেন। সংগঠনের অন্য এক প্রতিনিধি জানান, এইভাবে সরবরাহ বন্ধ হলে সাধারণ মানুষ সমস্যার মুখে পড়বে।
Comments are closed.