বয়স মাত্র ২১ বছর। এই বয়সেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিচারপতি হয়ে অনন্য নজির গড়লেন জয়পুরের ময়াঙ্ক প্রতাপ সিংহ। গত বছর রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি।
আইন বিষয়টির প্রতি ছোট থেকেই ময়াঙ্কের প্রবল আকর্ষণ। দেশের আইন-ব্যবস্থা, সমাজ রক্ষায় আইন ও বিচারপতির গুরুত্ব নিয়ে ছোটবেলা থেকে সজাগ তিনি। আইন ও সংবিধানের খুঁটিনাটি খবর রাখতেন। তখন থেকেই জীবনের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেন ময়াঙ্ক, বিচারপতি হতেই হবে। সেই লক্ষ্য এতটাই দৃঢ় ছিল যে, মাত্র ২১ বছর বয়সেই তা হাসিল করে নিলেন তিনি।
ময়াঙ্কের নিজের কথায়, আমি সবসময়ই আইন-কানুন, সমাজে বিচারপতিদের গুরুত্ব ও সম্মান নিয়ে বিশেষ সচেতন ছিলাম। ধ্যানজ্ঞান ছিল বিচারপতি হয়ে দেশ ও সমাজের সেবা করা।
২০১৪ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঁচ বছরের এলএলবি কোর্সে ভর্তি হন ময়াঙ্ক। আইনের পাঠ শেষ করতে করতেই রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় বসে পড়েন তিনি। আর প্রথমবারেই মাত করেছেন, পাশ করে গিয়েছেন বিচারপতি হওয়ার কঠিন লড়াইয়ে। তবে তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্তৃপক্ষের এক সিদ্ধান্তও বিশেষ সাহায্য করেছে বলে জানান ময়াঙ্ক প্রতাপ। জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার বয়সসীমা ছিল ২৩ বছর। কিন্তু গত বছর তা কমিয়ে ২১ বছর করার নির্দেশ দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তই ময়াঙ্ককে সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়। তিনি বলেন, রাজস্থান হাইকোর্টের এই নির্দেশ যেমন বিচার ব্যবস্থার প্রচুর শূন্যপদ পূরণ করতে সাহায্য করেছে, তেমনি তাঁর মতো বহু ময়াঙ্কের স্বপ্ন পূরণের সময় আরও এগিয়ে দিয়েছে।
তাঁর সাফল্যের জন্য পরিবার ও শিক্ষকদের ভূমিকা বিশাল বলে জানিয়েছেন ময়াঙ্ক প্রতাপ সিংহ। লক্ষ্য পূরণ তো হল, এবার সবাইকে সুবিচার এনে দেওয়াই বিচারপতি হিসেবে ময়াঙ্ক প্রতাপ সিংহের পরবর্তী উদ্দেশ্য।
Comments are closed.