‘বনরাক্ষস’ হতে দীর্ঘ ৯ বছরের লড়াই; চিনুন NSD-এর প্রাক্তনী পঞ্চায়েত খ্যাত ‘ভূষণ’কে

স্ত্রীর জুতো হারিয়ে গিয়েছে বলে ‘সচিবজী’কে এফআইআরের হুমকি দিচ্ছেন, আবার কখনও গ্রামের পাকা রাস্তার দাবিতে নিজের গায়েই পেট্রল ঢেলে ‘আত্মদাহ’(আত্মহত্যার) হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত-২ জুড়ে তাঁর কাণ্ডকারখানায় ব্যতিব্যস্ত ‘প্রধানজী’, ‘সচিবজী’, ‘প্রহ্লাদরা’। বর্তমানে ওয়েব সিরিজ প্রেমীদের কাছে অন্যতম পছন্দের খলনায়ক তিনি। ‘পঞ্চায়েত’ ভক্তদের কার্যত মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে  ‘বনরাক্ষস’ শব্দটি। ‘প্রধানজী’, ‘বিকাশরা’ ‘ভূষণ’কে ওই নামেই ডেকে থাকেন। ‘পঞ্চায়েত-২’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘ভূষণ’ চরিত্রকে নিয়ে কৌতহল জন্মেছে দর্শকদের। আসুন একনজরে চিনে নেওয়ার যাক ‘প্রধানজী’র বিরোধী ‘ভূষণ’কে। 

 

 

পঞ্চায়েত-২ তে ভূষণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুর্গেস কুমার। বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা দুর্গেস ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে ২০১১ সালে গ্রাজুয়েট হন। যদিও ছোট থেকেই যে তিনি অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন এমনটা নয়। এক প্রকার হঠাৎ করেই তাঁর অভিনয়ে আসা। স্কুলের পড়া শেষ করে দিল্লি এসেছিলেন ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে। কিন্তু কোনও কলেজেই সে সময়ে সুযোগ পাননি। এক সাক্ষাৎকারে দুর্গেস জানিয়েছেন, কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কলেজে সুযোগ না পেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়েই হিন্দি অনার্স নিয়ে ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেই সময় এক দাদার পাল্লায় পড়ে তাঁর থিয়েটার শুরু। সেই দাদা দুর্গেসকে বুঝিয়েছিলেন, থিয়েটারে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। শ্রীরাম সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্ট-এ শুরু করে নাটক করা। সেখান থেকেই অভিনয়ের আস্তে আস্তে ভালোবাসা জন্মায়। যা তাঁকে পরবর্তীকালে টেনে নিয়ে যায় ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে। সেখানেও সুযোগ পেয়ে যান।

বছর ৩৮-এর দুর্গেস জানিয়েছেন, ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে পাশ করে বেরিয়ে তিনি কয়েকটি রিপ্রেটারি থিয়েটারে অভিনয় করতে শুরু করেন। সেখান থেকেই জীবনের প্রথম ছবি পরিচালক ইমতেয়াজ আলীর হাইওয়ে। হাইওয়ে-তে তাঁর অভিনয় অনেকের নজর কেড়েছিল। দুর্গেসের কথায়, আমার কাজ প্রশংসিত হওয়ার পরেও তেমন সুযোগ পাচ্ছিলাম না। যে ছোটো ছোটো রোল পাচ্ছিলাম, তা দিয়ে মুম্বাইতে টিকে থাকা মুশকিল। 

 

 

দীর্ঘ ৯ বছর পরিচালক, প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরলেও উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ জোটেনি। জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের জন্যও তিনি অডিশন দিয়েছিলেন। সিজন ওয়ানে একটা দৃশ্যে সুযোগও পেয়েছিলেন। দুর্গেসের কথায়, সিজিন-২ এর জন্যও যখন আমি ডাক পাই ভেবেছিলাম দু-একটা সিনই হবে। তারপর তো টানা ২০ দিন শুটিং। ফুলেরা শাসন করতে পারবেন কিনা তা জানা না গেলেও ‘ভূষণে’র চরিত্রে দুর্গেস সিরিজ প্রেমীদের মনে ‘রাজ’ করতে শুরু করেছেন।     

       

Comments are closed.