দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং এনআরসি, এনপিআর এবং সিএএ ইস্যুতে আন্দোলনরত প্রতিবাদীদের উপর ফ্যাসিস্ট কায়দায় অত্যাচার চালাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে ছাত্র, বিশিষ্ট জন এবং নাগরিক সমাজের একাংশের তরফে। এদিন বিকেল ৪ টের সময় কলেজ স্ট্রিটে জমায়াতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে এই মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত। এই মিছিলের সমর্থনে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে শহরের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং নাগরিক সমাজের একাংশের তরফে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর মত বিভেদকারী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে বারবার বিক্ষোভকারীদের উপর লাগামছাড়া আক্রমণ নামিয়ে আনছে কেন্দ্রের শাসক দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং অধ্যাপিকদের উপর হামলা হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ বলে আমাদের মনে হচ্ছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’ এই বিবৃতিতে সই করেছেন চন্দন সেন, তরুণ মজুমদার, শুভেন্দু মাইতি, দেবজ্যোতি মিশ্র, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, অনীক দত্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, কৌশিক সেন, বাদশা মৈত্র, উর্মিমালা বসু, জগন্নাথ বসু, রূপঙ্কর বাগচী প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত রবিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাস। অভিযোগ, সেখানে মুখে কাপড় বেঁধে বাইরে থেকে একদল দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালায় এবিভিপি সমর্থকরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ছাত্রীদের সবরমতী হোস্টেল। হামলায় মারাত্মক জখম হন ছাত্র সংসদ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। মাথা ফেটে যায় তাঁর। পড়ুয়াদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন শিক্ষকেরাও। মাথা ফেটে গিয়েছে অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনের।
Comments are closed.