কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মধ্যেই গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে এবং রাজ্যে কর্ম নিশ্চয়তা বজায় রাখতে নয়া দিশা দেখাচ্ছে কর্মশ্রী প্রকল্প। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে জব হোল্ডারদের কাজ দেওয়ার জন্য কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। সেখানে সাড়ে ছ’হাজার প্রকল্পে এক লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ পেয়েছেন। কর্মশ্রী প্রকল্পে জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়ার নিরিখে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নদিয়া। চলতি অর্থবর্ষ শুরুর মাত্র চার মাসের মধ্যেই প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রকল্পে নদিয়া জেলার এক লক্ষ ২৮ হাজার জব কার্ড হোল্ডার কাজ পেয়েছেন। কর্মসংস্থান তৈরির নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। সারা রাজ্য এই প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন দশ লক্ষের বেশি শ্রমিক।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটানো নিয়ে অনড় দিল্লির বিজেপি সরকার। বাংলার হকের টাকা নানা অজুহাতে আটকে রয়েছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। বিকল্প হিসেবে কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। গ্রামের অর্থনীতি সচল রাখা ও সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসেই, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে এই কর্মশ্রী প্রকল্পে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য এসেছে। দিল্লির মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে বাংলার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭৬ হাজার প্রকল্পে দশ লক্ষের বেশি জবকার্ড হোল্ডার কাজ পেয়েছেন।
Comments are closed.