বিপ্লব দেব বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সুদীপ রায়বর্মন। এছাড়াও আরও এক বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে কলকাতায় এসেছেন বলেই খবর। বাংলার তৃণমুল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ত্রিপুরার অন্যান্য বিজেপি নেতারাও।
সুদীপ রায়বর্মনের কলকাতা সফরে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এতেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। ত্রিপুরার আরেক বিধায়ক জিতিন সরকার অনেকদিন ধরেই কলকাতায় আছেন। তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে মমতা ব্যানার্জিকে চিঠিও লিখেছেন তিনি।
ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিপ্লব দেব এবং সুদীপ রায় বর্মনের সম্পর্ক সাপ নেউলের। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা সুদীপ রায় বর্মন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদের অধিকারী। কিন্তু তাঁকে ছেড়ে বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপির দিল্লি নেতারা।
বাংলায় তৃণমূল তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয় অভিষেক ব্যানার্জিকে। তিনি জানিয়ে দেন গোটা দেশে নিজেদের জায়গা পাকা করতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি। এরপর ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে নেমে পড়ে তৃণমূল।
মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরই সুদীপ রায় বর্মনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বাড়ে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দিতেও দেখা যায় সুদীপ রায় বর্মনকে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা বিজেপির অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এরমধ্যে রাজনৈতিক মহল মনে করছে কয়েকদিনের মধ্যেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে বড় চমক অপেক্ষা করছে।
Comments are closed.