সুফল বাংলা স্টলে ক্রেতাদের হাতে উন্নত মানের চাল ও ডাল পৌঁছতে নিজস্ব মিল বানাচ্ছে কৃষি বিপণন দফতর

করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষক ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের সুবিধার্থে সুফল বাংলার স্টল থেকে উন্নতমানের খাদ্যশস্য বিক্রির উদ্যোগ নিল রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর।

সরকারি সূত্রে খবর, উন্নত মানের চাল ও ডাল ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে নিজস্ব মিল বানাচ্ছে কৃষি বিপণন দফতর। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য গ্রাহকদের কৃষকদেরও উপকৃত করা। তাই রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যশস্য কিনছে সুফল বাংলা কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়ায় চাল ও ডালের মিল বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর তত্ত্বাবধানে থাকছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ নিয়ে একটি চুক্তি করেছে রাজ্যের কৃষিবিপণন দফতর।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশজুড়ে শুরু হওয়া লকডাউনে বহু মানুষের কাজ চলে গিয়েছে। মানুষের আয় কমছে। এদিকে বাজারে শাকসবজি, ফল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্প। মাত্র তিন মাসেই রেকর্ড ব্যবসা করেছে বাংলার এই প্রকল্প। ন্যায্যমূল্যে টাটকা জিনিস কিনতে ক্রমেই চাহিদা বাড়ছে। সেকথা মাথায় রেখে স্টলের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। এখন সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা ২৬৬।

পরিষেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণমানের বিষয়ে সমান নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, সুফল বাংলা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। রাজ্যজুড়ে এখন সুফল বাংলার স্টল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উন্নত মানের খাদ্যশস্য দেওয়ার ব্যাপারেও মানুষের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। সেই লক্ষ্যেই চাল, ডাল তৈরির জন্য নিজস্ব মিল বানাচ্ছি, বলেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। রাজ্য সরকারের দাবি, এতে চাষিরা যেমন তাঁদের উৎপাদিত ফসল সঠিক দামে বিক্রি করতে পারবেন, তেমনই ক্রেতারাও উন্নতমানের পণ্য পাবেন। আর প্রকল্পের জন্য টাকার কোনও অভাব হবে না। এ বছরের শেষদিকে সুফল বাংলা নিজেদের মিলে তৈরি চাল ও ডাল বিক্রি করতে পারবে বলে আশাবাদী কৃষি বিপণন দফতর।

Comments are closed.