সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে যাতায়াতের মূল মাধ্যম জলপথ। তাছাড়া স্থলপথে যেতে মোটর ভ্যানই ভরসা। এতে করেই এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে পৌঁছন স্থানীয়রা। কিন্তু বর্ষার মরসুমে এবং করোনা পরিস্থিতিতে রোগীদের এভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে প্রবল অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাই করোনা সংক্রমিতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চালু হল ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। সূত্রের খবর, গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন নদী দিয়ে এই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, এই ‘ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’ এর ভিতর হাসপাতালের কেবিনের মতোই বানানো হয়েছে বিশেষ কেবিন। সেখানে রোগীর জন্য থাকছে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ কোভিড রোগীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ওয়াটার অ্যাম্বু্লেন্সের চালকরা যাতে সংক্রমিত না হন তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। চালকদের দেওয়া হয়েছে পিপিই কিট। গোসাবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত মণ্ডল জানান, মূলত করোনা জয়ীরাই এই ‘ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’ পরিচালনা করবেন।
বর্তমানে গোসাবা ব্লক হাসপাতালের নদী ঘাটে রাখা হয়েছে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি। প্রয়োজন মাফিক সেটি পৌঁছে যাবে করোনা রোগীর নির্দিষ্ট দ্বীপ এলাকায়। গোসাবার ব্লক আধিকারিক সৌরভ মিত্র জানান, পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে আরও ‘ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’ তৈরি করা হবে। যা মূলত প্রসূতি মহিলাদের হাসপাতালে আনতে ব্যবহার করা হবে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পর্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। যার মধ্যে ২৬ জন ইতিমধ্যে সুস্থও হয়েছেন বলে খবর।
Comments are closed.