আগুন নেভাতে সুপার হিউম্যান রোবট এল দমকলের হাতে, আগুনের উৎস সন্ধানে অব্যর্থ কোটি টাকা দামের যন্ত্রমানব

আগুন নেভানোর কাজে দমকলের হাতে চলে এল চারটি অত্যাধুনিক সুপার হিউম্যান ফায়ার ফাইটার রোবট। একেকটি যন্ত্রের দাম প্রায় এক কোটি টাকা। রাসায়নিক থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে এই যন্ত্র দিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে জানাচ্ছে দমকল বাহিনী। এই রোবট কীভাবে কাজ করবে, বৃহস্পতিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তারই মহড়া হল। উপস্থিত ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, ডিজি ফায়ার জগমোহন প্রমুখ।

জানা গিয়েছে, রাসায়নিকের গুদাম বা পেট্রপণ্যের ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলে এই রোবট দক্ষতার সঙ্গেই তা মোকাবিলা করতে সক্ষম। এমনকী আগুনের উৎসস্থলেও পৌঁছে যাবে দ্রুত।

গত বছরের শেষদিকে এই রোবট কেনার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল।

ফায়ার ফাইটার রোবটগুলি মানুষের চেয়ে অধিক তাপ সহনশীল। দমকল কর্মীরা যে স্থানে যেতে পারবেন না, সেখানে সহজে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করবে এই সুপার হিউম্যান  রোবট।

স্টিলের তৈরি এবং ব্যাটারি চালিত এই রোবটগুলি রিমোট সেনসরের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। আগুন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে থেকে এরা কাজ করতে সক্ষম এরা। একবার চার্জ করলে চার ঘণ্টা পর্যন্ত আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ফায়ার ফাইটার রোবট।  রোবটের গায়ে লাগানো থাকবে ক্যামেরা, যার সাহায্যে সহজে এদের আগুনের উৎসে পাঠিয়ে জলসিঞ্চন করা যাবে। পাশাপাশি, সেনসর থাকার ফলে আগুনের উৎস চিহ্নিত করতে দমকল বাহিনীকে সাহায্য করবে এই রোবটগুলি। কীভাবে জাজ করে এই রোবট? আগুনের উৎসের কাছে রোবট পৌঁছলেই গায়ে লাগানো ক্যামেরার মাধ্যমে আগুনের অবস্থা কী, তার ছবি তুলে পাঠাবে এরা। সেইমতো জল সরবরাহ করা হবে রোবটে থাকা ট্যাঙ্কে। রিমোট দিয়ে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, অনেক সময় ধোঁয়ার কারণে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে অসুবিধা হয় দমকল কর্মীদের। আগুন ঠিক কোথায় লেগেছে, সেটাই বোঝা যায় না। এক্ষেত্রে এই রোবট নিজেই নিশানা খুঁজে নেবে। তার ভিত্তিতে দমকল কর্মীরাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

Comments are closed.