দিল্লির বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ায় এফআইআর করা সংক্রান্ত মামলা শুক্রবারই (৬ মার্চ) শোনার জন্য দিল্লি হাইকোর্টকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, এত দীর্ঘ সময় ধরে ওই আর্জি ফেলে রাখা ঠিক নয়। দ্রুত সেগুলির নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। দিল্লির হিংসার আগে সেখানকার কয়েকজন বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রী উস্কানিমূলক ভাষণ দেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ চেয়ে ওই হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জন দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি এস মুরলিধর কেন্দ্রীয় এবং দিল্লি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন এখনও ওই নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেনি। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। তার পরের দিনই অবশ্য বিচারপতি মুরলিধরকে বদলি করে দেওয়া হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি সি হরিশঙ্করের বেঞ্চ মামলার শুনানি ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়। বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, দিল্লিতে আপাতত হিংসা বন্ধ হয়েছে। কাজেই এও মামলার শুনানি পরে হলেও ক্ষতি নেই।
দিল্লি হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের ওই বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে বলে, আদালত হিংসা রোধ করতে পারে না। কিন্তু এখন হিংসা ছড়াচ্ছে না, এই যুক্তিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থগিতাদেশও দিতে পারে না। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে’র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি। দ্রুত এফআইআর-মামলার শুনানি শুরু হওয়া দরকার। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, দিল্লি-হিংসা সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলিও দ্রুত শুনতে হবে দিল্লি হাইকোর্টকে।
দিল্লি হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের ওই বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে বলে, আদালত হিংসা রোধ করতে পারে না। কিন্তু এখন হিংসা ছড়াচ্ছে না, এই যুক্তিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থগিতাদেশও দিতে পারে না। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে’র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, অবিলম্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি। দ্রুত এফআইআর-মামলার শুনানি শুরু হওয়া দরকার। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, দিল্লি-হিংসা সংক্রান্ত অন্য মামলাগুলিও দ্রুত শুনতে হবে দিল্লি হাইকোর্টকে।
Comments are closed.