দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বন্ধ রাখা সমস্যার, শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের অন্যত্র সরাতে দুই আইনজীবীকে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দিল সুপ্রিম কোর্ট
শাহিন বাগ আন্দোলকারীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দুই আইনজীবীকে দায়িত্ব দিল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা দখল করে আন্দোলন করাকে ‘সমস্যার বিষয়’ বলে মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।
গত দু’মাস ধরে কেন্দ্রের নয়া নাগরিক আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে দিল্লির শাহিন বাগে। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনকারীদের রাস্তা আটকে অবস্থানের ফলে সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা, এই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজতে দুই আইনজীবীকে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রনকে শাহিন বাগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য নিয়োগ করল আদালত। সেই সঙ্গে মধ্যস্থতার কাজে সাহায্যের জন্য প্রাক্তন চিফ ইনফর্মেশন কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আদালত বলেছে, কোনও ইস্যুতে আন্দোলন করা, প্রতিবাদ করা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তবে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা আটকে রাখলে অন্যদের যে অসুবিধা হয়, সেটাও বুঝতে হবে। এদিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে,নাগরিকদের আন্দোলনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তার একটা সীমারেখাও হয়েছে। প্রতিবাদ করতে চান, সেটা সমস্যা নয়। আজ শাহিন বাগে একদল আন্দোলন করছে। কাল অন্য একদল অন্যত্র রাস্তা আটকে আন্দোলন করতে পারে। সবাই যদি এরকম করে রাস্তা আটকে রাখে, তা হলে আমজনতা কোথায় যাবে? আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওই দুই আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকেও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী সোমবার।
Comments are closed.