সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা মহিলাকে তাঁর কাজে পুনর্বহাল করেছে শীর্ষ আদালত।
গত বছর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন শীর্ষ আদালতেরই ওই মহিলা কর্মী। ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি সূত্রকে উল্লেখ করে জানাচ্ছে, সেই কর্মীকে ফের চাকরিতে ফিরিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মহিলা কর্মী ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে এখন তিনি ছুটিতে রয়েছেন।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের কর্মী হিসেবে যোগ দেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৮ সালের অক্টোবরে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বাসভবনে কাজ করার সময় তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হন। এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রথমে বদলি করা হয় এবং পরে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, এর জেরে দিল্লি পুলিশে কর্মরত তাঁর স্বামী ও দেওর-কেও সাসপেন্ড করা হয়।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গগৈ একে ‘সর্বৈব মিথ্যা ও অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেন। এই অভিযোগের স্বপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ইন-হাউস হাউস কমিটি কোনও যুক্তি খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে শীর্ষ আদালতের মহিলা কর্মী অভিযোগ করেন, তাঁকে আইনি সাহায্য নিতে দেওয়া হয়নি এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
এরপরে ২০১৯ সালের জুন মাসে অভিযোগকারিণীর স্বামী ও দেওর ফের নিজেদের কাজে যোগ দিলেও, তাঁকে ফেরানো হয়নি। এদিকে এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের ওই মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা ফের নজরে আসে। যেখানে শীর্ষ আদালতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মহিলার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনেন এক ব্যক্তি। যদিও এই মামলায় সম্প্রতি ক্লোজার রিপোর্ট দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। নিম্ন আদালতে তা গৃহীতও হয়। এর পরেই ওই মহিলা সুপ্রিম কোর্টে তাঁর কাজ ফিরে পান বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
Comments are closed.