পশ্চিম মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলের হারানো রুক্ষ জমি পুনরুদ্ধারে সুশান্ত ঘোষ এবং তাঁর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ তপন ঘোষকে বামেদের মুখ করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সূত্রের খবর, শালবণিতে সুশান্ত ঘোষ এবং পাশের গড়বেতা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী হচ্ছেন তপন ঘোষ।
একসময় অবিভক্ত মেদিনীপুরের রাজনৈতিক লড়াই-সংঘর্ষের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল গড়বেতা, কেশপুর, চন্দ্রকোনা। সেই সময় থেকেই কার্যত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হিসেবে মেদিনীপুর সহ গোটা রাজ্যে উত্থান হয় সুশান্ত ঘোষের। তারপর ২০০২ সালে মেদিনীপুর জেলা ভাগের পরও গড়বেতা, শালবণিতে ব্যাপক প্রভাব ছিল সুশান্ত ঘোষ এবং তাঁর অনুগামীদের।
২০১১ সালে সুশান্ত ঘোষ বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএমের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও দুর্বল হয়ে পড়েন সুশান্ত ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অনুগামীরাও কোণঠাসা হয়ে পড়েন গড়বেতা এলাকায়। ২০১৬ সালে আর সুশান্ত ঘোষকে প্রার্থী করেনি সিপিএম। এরই মাঝে ২০১৯ সালে লোকসভায় কার্যত এলাকার অধিকাংশ বাম ভোটকে ঘরে তুলে গড়বেতা, শালবণিতে প্রধান শক্তি হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। এবার ফের সুশান্ত ঘোষকে প্রার্থী করে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাম ভোট ফেরাতে মরিয়া সিপিএম। সূত্রের খবর, শালবণি কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন সুশান্ত ঘোষ। এবং গড়বেতা কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তপন ঘোষ।
১৯৮৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গড়বেতা থেকে বিধায়ক হন সুশান্ত ঘোষ। রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন দীর্ঘদিন। তবে এবার গড়বেতা নয়, শালবণি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে গড়বেতায় দাঁড়াতে চলেছেন তপন ঘোষ।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট আশাবাদী, সুশান্তকে মুখ করে পশ্চিম মেদিনীপুরে লড়াই করলে সেই জেলায় তো বটেই, জঙ্গলমহলেও তার সদর্থক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত ঝাড়গ্রাম, বিনপুর, গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রামে সাংগঠিক এবং রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে বামেরা। ফাঁকা জায়গা দখল করেছে বিজেপি। জঙ্গলমহলেও প্রায় বসে যাওয়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সুশান্ত ঘোষের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
Comments are closed.