রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ (Sustainable Development) বা ‘সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যে’ চার কদম এগোল বাংলা। এক বছর আগে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছিল ১৭ তম স্থানে। সেখান থেকে একবছরে বাংলা ১৩ তম স্থানে উঠে এসেছে। নীতি আয়োগের পরীক্ষার সামগ্রিক মাপকাঠিতে জাতীয় স্কোর ও বাংলার স্কোর সমান।
গোটা বিশ্বের সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে বছর পাঁচেক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ ১৭ টি লক্ষ্য স্থির করে। ২০৩০ সালকে রাখা হয় লক্ষ্যমাত্রা। অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ১৯৩ টি দেশ বৈঠক করে এই লক্ষ্যমাত্রাগুলি ঠিক করে। সেই লক্ষ্য পূরণে দেশের কোন রাজ্য কেমন কাজ করেছে তার জন্য ১০০ টি মাপকাঠি স্থির করে নীতি আয়োগ।
নীতি আয়োগের সদ্য প্রকাশিত সেই রিপোর্টে (Sustainable Development) গতবারের মতো এবারও কেরল রয়েছে প্রথম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানা একসঙ্গে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এদিকে বাংলা গত বছরের চেয়ে একলাফে চার ধাপ এগিয়েছে। নীতি আয়োগের এসডিজি ইনডেক্সে জাতীয় ও বাংলার একসঙ্গে স্কোর ৬০। স্বাস্থ্য, শান্তি, পরিস্রুত পানীয় জল ও জল নিকাশি, বিচার, ভদ্রস্থ কর্মসংস্থান ও আর্থিক বৃদ্ধি, শিল্প-পরিকাঠামো, অসাম্য দূরিকরণ, পরিবেশের ভারসাম্য ও মজবুত প্রতিষ্ঠান, এই মাপকাঠিগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে রয়েছে। তাছাড়াও, দারিদ্র দূরীকরণ, উচ্চমানের শিক্ষা, সস্তায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, সুস্থায়ী আর্থিক কর্মকাণ্ডের মাপকাঠিতে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার ফল মোটামুটি ভালো বলে নীতি আয়োগের সমীক্ষায় প্রকাশ। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার বলেন, সূচকে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল সন্তোষজনক। তবে বাংলার শিক্ষার যে স্তর, তাতে তিনটি প্রথম রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের থাকা উচিত ছিল।
সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের যে সব ক্ষেত্রে এ রাজ্য পিছিয়ে, সেগুলি হল ক্ষুধার নিবৃত্তি, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, পরিবেশবান্ধব শহর, জলবায়ু উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষা।
নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, গত এক বছরে সুস্থায়ী উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে ওড়িশা ও সিকিম। শেষের সারিতে রয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম ও ঝাড়খণ্ড।
Comments are closed.