দেশজুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। দেশজুড়ে রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন শাখায় পালিত হচ্ছে বিশেষ দিনটি। সকাল থেকে বেলুড় মঠে উপচে পড়া ভিড়। যুব দিবস পালন করতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন শাখাগুলিতে। বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা, সঙ্গীত, যুব সম্মেলন, যোগাসন প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ রচনা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
উত্তর কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে গত দুবছর যুব দিবস সেইভাবে পালিত না হওয়ায় এই বছর সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দিনটি। এদিন ভক্তরা স্বামিজীর স্মৃতি বিজরিত বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সারদাপীঠের সভাগৃহে সকালে প্রার্থনা ও ভক্তিগীতি হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই দেশজুড়ে স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০২৩ সালের যুব দিবসের থিম হল ‘বিকশিত যুবা, বিকশিত ভারত’।
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় সিমলা এলাকায় দত্ত পরিবারে জন্ম নেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। পিতা আইনজীবী বিশ্বনাথ দত্ত ও ভুবনেশ্বরী দেবীর ছেলে নরেন একদিন হয়ে ওঠেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনিই হয়ে ওঠেন দেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। ১৮৮১ সালে দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এরপর থেকেই বদলে যায় তাঁর জীবনের মোড়। ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে স্বামীজি ভারতীয় ধর্ম ও দর্শন নিয়ে কথা বলেন। সেখানে সকলে তাঁর বক্তৃতা শুনে অবাক হয়ে যান। এত কম বয়সে ভারতীয় ধর্ম ও দর্শন নিয়ে কেউ বক্তৃতা দেননি।
Comments are closed.