লকডাউনের মধ্যে বাংলার তাঁতশিল্প ও শিল্পীদের পাশে থেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে তন্তুজ। এই বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্কচ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেল তন্তুজ।
করোনা মোকাবিলায় হাসপাতাল, পুলিশ ও সরকারি দফতরে ৩ কোটি মাস্ক সরবরাহ করেছে তন্তুজ। এছাড়া প্রায় ২৫ লক্ষ পিপিই, ৩ লক্ষ এন ৯৫ মাস্ক তৈরি করেছে। এই অতিমারির সময় বাংলার তাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকার কাপড় কিনেছে তন্তুজ, যা উৎসবের মরসুমে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র শিল্পকে বাঁচাতে মাস্ক, পিপিই এবং স্যানিটাইজার কেনার ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সরাসরি রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দফতরকে দায়িত্ব দিয়েছিল। এতে লকডাউনে ক্ষুদ্র শিল্পকে বাঁচানো গেছে অনেকটাই। এ ছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তন্তুজের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সব ধরনের মাস্ক, পিপিই তৈরির। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলার প্রাচীন তাঁত ও হস্তশিল্প সংস্থা তন্তুজ ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। সারা দেশের নিরিখে তন্তুজের এই পারফরমেন্স দেখে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘প্লাটিনাম’ দিল স্কচ ফাউন্ডেশন।
বিভিন্ন আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার দিয়ে থাকে স্কচ ফাউন্ডেশন। ইন্ডিয়াজ অনেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে এই পুরস্কার চিহ্নিত। লকডাউনের মধ্যে শিশু ও অভিভাবকদের মানসিক সুরক্ষা ও পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য রাজ্যের নারী, শিশুকল্যাণ ও সমাজকল্যাণ দফতরকে স্কচ ফাউন্ডেশন ‘গোল্ড’ পুরস্কার দিয়েছে। এছাড়া এর আগে রাজ্যের কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্প এই পুরস্কার পেয়েছে। এবার স্কচ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেল তন্তুজ।
Comments are closed.