চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৩ মাসে ভারতের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। এবার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও ব্যাপক সঙ্কোচন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে দেশের জিডিপি সঙ্কোচন হয়েছে ৮.৬ শতাংশ। পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সঙ্কোচনের প্রেক্ষিতে এই প্রথম মন্দার (টেকনিক্যাল রিসেশন) মুখ দেখল ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির পথে দৌড়নো ভারত।
চাহিদার অভাবে ভোগা ভারতীয় বাজারে বোঝার উপর শাকের আঁটি হয়ে দেখা দিয়েছে কোভিড। লকডাউন কোমর ভেঙেছে অর্থনীতির। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিনমাস অর্থাৎ এপ্রিল, মে ও জুন মাসে দেশের জিডিপি সঙ্কুচিত হয়েছিল রেকর্ড ২৩.৯ শতাংশ। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে আরও একটি ত্রৈমাসিক। আরবিআইয়ের বিশেষজ্ঞদের দাবি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সঙ্কোচনের পরিমাণ ৮.৬ শতাংশ। এই অর্থ বছরে ভারতের অর্থনীতি সর্বমোট ৯.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
কোনও অর্থ বছরে পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির সঙ্কোচন হলে তাকে অর্থনৈতিক মন্দা বা টেকনিক্যাল রিসেশন বলে। স্বাধীনতার পর ভারতের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি নজিরবিহীন।
তবে আরবিআই আশাবাদী, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পরিস্থিতির বদল হবে। একই কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকারও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, অক্টোবর থেকে জানুয়ারির তৃতীয় কোয়ার্টারে সঙ্কোচন কাটিয়ে আবার বৃদ্ধির হাইওয়েতে ফিরবে দেশের অর্থনীতি।
এই উদ্দেশে ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকার নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে অর্থ মন্ত্রক। এতে গ্রাম-শহরে মানুষের রোজগার বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। এখন প্রশ্ন হল, এর ফলে মোদী সরকারের রাজকোষ ঘাটতি কোথায় পৌঁছবে। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আরও একটি প্রশ্ন, নির্মলা সীতারামনের নবতম দাওয়াইয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে মন্দার গ্রাসে চলে যাওয়া ভারতের অর্থনীতি?
Comments are closed.