শনিবার রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোটগ্রহন ঘিরে আঁটোসাটঁও করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের একটা বুথের জন্য ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা থাকবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ২ থেকে ৪ টি বুথ থাকলে ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। খড়দায় ২০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। শান্তিপুরে থাকবে ২২ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনহাটায় মোতায়েন করা হয়েছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আর গোসাবায় ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। করোনা বিধি মেনেই হবে ভোটগ্রহন। প্রতিটি বুথে থাকবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
এই চার কেন্দ্রে শান্তিপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। বামেদের প্রার্থী সৌমেন মাহাতো এবং কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল। দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল, বামফ্রন্ট প্রার্থী আব্দুর রউফ। তৃণমূল প্রার্থী করেছে উদয়ন গুহকেই৷ খড়দায় তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চ্যাটার্জি আর বিজেপি হয়ে লড়াই করছেন জয় সাহা। গোসাবা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ভূমিপুত্র সুব্রত মণ্ডল। আরএসপি প্রার্থী অনিলচন্দ্র মণ্ডল। রায়দিঘির অন্যতম বিজেপি নেতা পলাশ রানার উপর ভরসা রেখেছে গেরুয়া শিবির।
এই চারটি কেন্দ্রের মধ্যে দিনহাটা ও শান্তিপুরে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দিনহাটায় জয়ী বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ পদে বহাল থাকার জন্য বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। আর অন্যদিকে শান্তিপুরে বিজেপির জগন্নাথ সরকারও বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদে বহাল থেকেছেন। তাই এই দুই কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। গোসাবা কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর। কোভিডের কারণে মারা যান তিনি। অন্যদিকে খড়দার তৃণমূল বিধায়ক কাজন সিনহা কোভিডে মারা যাওয়ার কারণে এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।
Comments are closed.