হাইকোর্টের নির্দেশে ৫ সিবিআই আধিকারিক অধ্যক্ষের কাছে হাজিরা দিলেন। বিকেল ৪ টের সময় সিবিআইকে অধ্যক্ষের কাছে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেই হাজিরা দেয় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। দলে আছেন একজন মহিলা আধিকারিক। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
নারদকাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের নামে চার্জশিট দেওয়ার পরেই বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি ইডি ও সিবিআই আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। প্রথম হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিল সিবিআই। এরপর ফের সোমবার তলব করা হয়। এর বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সোমবার ওই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, স্পিকারের চিঠিকে সমন হিসেবে ধরছেন কেন? এটাও তো হতে পারে কোনও আলোচনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ। তিনি ডাকলে হাজিরা দিতে হবে সিবিআইকে। বিকেল ৪টের সময় সিবিআইকে স্পিকারের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়। তবে, হাজিরা দিলেও স্পিকার সিবিআই আধিকারিকদের নারদ মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, সেই চার্জশিট সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করতে পারবেন না। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থাও নিতে পারবেন না তিনি।
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় রাজ্য়ের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। এরপর স্পিকার বিমান ব্যানার্জি প্রশ্ন তোলেন, স্পিকারকে না জানিয়ে এইধরণের পদক্ষেপ নেওয়া যায়না। তাই তিনি সিবিআই আধিকারিকদের বিধানসভায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই পালটা চিঠি দিয়ে জানায়,রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই এই চার্জশিটে অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে এ নিয়ে ইডির তরফেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতি তখন দুটি মামলাই মঙ্গলবার দুপুরে একসঙ্গে শুনবেন বলে জানান।
Comments are closed.