শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় কমিশনের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়। গুলি চালানোর ঘটনাকে কমিশন মান্যতা দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এইভাবেই চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির ঘটনায় কমিশনের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ করল সংযুক্ত মোর্চা। সোমবার কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে এসে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে? কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। আর কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কোনও ব্যাখ্যা নেই।
বিমান বসু জানান, কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনায় কমিশনের তরফে বলা হচ্ছে সেখানকার মানুষ নাকি অস্ত্র কেড়ে নিতে চাইছিলেন। তাই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিমান বসুর প্রশ্ন, এর প্রমাণ কী? তিনি আরও জানান, সেইস্থানে সিসি ক্যামেরা না থাকলেও মোবাইল ফোন ছিল। সেখানেও ছবি তোলা যেত। কিন্তু ঘটনার কোনও ফুটেজ এখনও প্রকাশ না করা সন্দহকে অক্সিজেন দিচ্ছে।
জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে বলে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে আক্রমণ করে প্রবীণ বাম নেতা বলেন, কীভাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলতে পারেন, এর পরের দফাগুলিতে আরও শীতলকুচি হবে! এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ বিমান বসুর।
শনিবার শীতলকুচির ঘটনার পর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে বামেরা। ভোট চলাকালীন বুথ চত্বরে কীভাবে জমায়েত হল? লাঠি বা কাঁদানে গ্যাস না ছুঁড়ে কেন ব্রাশ ফায়ারিং করা হল? এই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চার তরফে। পাশাপাশি ভোটে মেরুকরণের রাজনীতিকে উস্কে দিতে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী প্ররোচনামূলক ভাষণ দিচ্ছেন। এর ফলেই হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি হচ্ছে। যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন, বলেও অভিযোগ।
ভোটের প্রচারে ৪৮ ঘন্টার বদলে ৭২ ঘন্টার আগে প্রচার বন্ধ করার নয়া বিধি জারি করেছে কমিশন। এর প্রেক্ষিতে এদিন বিমান বসু জানান, এটা আইনত করতে পারে না কমিশন। এর বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
Comments are closed.