পুলিশের জালে ‘ভুয়ো ফার্মাসিস্ট’, একাধিক ওষুধের দোকানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত

বাঁকুড়ায় পুলিশের জালে ভুয়ো ফার্মাসিস্ট। বাঁকুড়ার একাধিক জায়গায় বিভিন্ন ওষুধের দোকানের সঙ্গে কাজ করত প্রদীপ কুমার বসাক। নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালাত সে। শুক্রবার তাঁকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ইন্দাসের এক ব্যবসায়ী ওষুধের দোকান খোলার জন্য অনলাইনে লাইসেন্সের আবেদন করেছিলেন। সেই ব্যক্তির সঙ্গে ছিলেন ভুয়ো ফার্মাসিস্ট প্রদীপ কুমার বসাক। নথিপত্র দেখার জন্য বৃহস্পতিবার ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠানো হয় ড্রাগ কন্ট্রোলে অফিসে। সেইসময় আবেদনকারীর সঙ্গে প্রদীপ কুমার বসাকের নথিপত্র খতিয়ে দেখতেই জানা যায় সব ভুয়ো।

সে বাঁকুড়া ছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর, বর্ধমানের একাধিক ওষুধের দোকানে যুক্ত ছিল। একজন ফার্মাসিস্ট একটির বেশি ওষুধের দোকানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। কিন্তু প্রদীপ কুমার বসাক ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়ে একাধিক দোকানের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই বিষয়ে বাঁকুড়া রিজিওনাল ড্রাগ কন্ট্রোল ডিভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ডাঃ জয়ন্ত কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, বাঁকুড়ায় ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করার জন্য একটি চক্র কাজ করছে। বিষয়টি ওয়েষ্ট বেঙ্গল ফার্মাসি কাউন্সিলে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।

Comments are closed.