করোনা অতিমারিকালে স্কুলে অষ্টম শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু হলেও বন্ধ থাকছে ছোটদের পঠনপাঠন। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতির স্বীকার গ্রাম বাংলার কচিকাচারা। কিন্তু তাতে কী? গ্রামের দিদি তো আছেন।
গ্রামের এক সাধারণ গৃহবধূ প্রতিদিন বিকেলে স্কুল করছেন খোলা মাঠে। সেখানে রোজ বিকেলে বসে ক্লাসঘর। করোনা বিধি মেনেই শিক্ষা দিচ্ছেন তিনি। বিনামূল্যেই শিক্ষাদান করছেন এই দিদিমণি।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা সুলতা হালদার নামে এই তরুণী খোলা একটি মাঠেই শুরু করেছেন একটি স্কুল। এখানে মোট ৪৫ থেকে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। পড়াশোনার পাশাপাশি শরীর চর্চাও হয় এই স্কুলে। বিনামূল্যে দেওয়া হয় বই খাতা। আর এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন কিছু গ্রামবাসীরা।
এই বিষয়ে সুলতা দেবী জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় গরিব পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছেন না। তাই তাদের কথা চিন্তা করেই গ্রামের কয়েকজন মিলে একটি খোলা স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। সাধ্যমত ছেলে মেয়েদের শিক্ষাদান করার চেষ্টা করি।
Comments are closed.