চাষিদের থেকে ধান কেনার জন্য স্থায়ী কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে রাজ্য সরকার

আগামী খরিফ মরশুমে ধান কেনার জন্য স্থায়ী কেন্দ্রের (সিপিসি) সংখ্যা আরও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য খাদ্য দফতর। গাড়ি নামিয়ে ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল) স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রের (এম-সিপিসি) সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। আগে খাদ্য দফতর ৫৩০টি সিপিসি এবং ৯৯টি এম-সিপিসির মাধ্যমে নিয়মিত ধান কেনার কথা ঠিক করেছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তি মারফত জানানো হয়েছে, আরও ৮৪টি সিপিসি এবং ৭৭টি এম-সিপিসি চালু করা হবে। সিপিসি এবং এম-সিপিসির সংখ্যা বেড়ে হল যথাক্রমে ৬১৪ ও ১৭৬।

আগামী খরিফ মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর থেকে। স্থায়ী কেন্দ্রগুলি মারফত সপ্তাহে ছ’দিন ধান কেনার ব্যবস্থা থাকে। স্থায়ী কেন্দ্রে ধান বেচলে সরকার নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা ‘বোনাস’ পান চাষিরা। তাই স্থায়ী কেন্দ্রে ধান বেচে চাষিদের কিছুটা বাড়তি আর্থিক লাভই হয়। স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চাষিদের জন্য এই সুযোগ আরও বাড়বে।

স্থায়ী কেন্দ্রে ধান বিক্রির জন্য অনলাইনে নাম লিখিয়ে আগাম তারিখ নিতে হবে চাষিকে। অস্থায়ী শিবির খুলেও ধান কিনবে সরকার। অস্থায়ী শিবির খোলা হবে সরকারি সংস্থা, গ্রামীণ কৃষি সমবায় সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং কিছু ফার্মার্স কোম্পানির মাধ্যমে। তবে অস্থায়ী শিবিরে ধান বেচে বোনাস মেলে না। কোন কোন তারিখে ও কোথায় অস্থায়ী শিবিরে ধান কেনা হবে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে।

Comments are closed.