কয়েকদিন আগে সরকারি চাকরি পাওয়ার অপরাধে এক মহিলার হাতের কব্জী কেটে নেয় তাঁর স্বামী। ঘটনা ছিল বর্ধমানের কেতুগ্রামের। নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলার পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি জানিয়ে দিলেন, ওই মহিলার পাশে আছে রাজ্য সরকার। এদিন ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কাটা হাত নিয়ে যা কাজ করতে পারবেন তিনি, সেই কাজই দেওয়া হবে তাঁকে।
এদিন মমতা জানান, প্যানেলে ২২ নম্বরে নাম ছিল রেণু খাতুনের। তিনি যা কাজ করতে পারবেন, সেই কাজই করবেন। যে হাত কেটে দিয়েছে তাঁর স্বামী, সেই জায়গায় নকল হাত বসানো হবে জানিয়ে দেন তিনি। এমনকি চিকিৎসার পুরো খরচ দেবে রাজ্য সরকার বলেও জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসা করতে খরচ হয়েছে ৫৭ হাজার টাকা। সেই টাকাটা পুরোটা দেবে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন সে সুবিধা পেল না, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গাঙ্গুলি রেণু খাতুনের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানিয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন রেণু খাতুন। সেই রাগে রাতের অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকার সময় তাঁর হাতের কব্জী কেটে নেয় স্বামী শের মহম্মদ শেখ। কাটা হাত যেন চিকিৎসকরা জোরা দিতে না পারে, তাই বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল সে। গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামী শের মহম্মদ শেখ ও শ্বশুর-শাশুড়িকে।
Comments are closed.