লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নিয়ম শিথিল করল মমতা ব্যানার্জি সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্রের ভিত্তিতেই রাজ্যের মহিলাদের এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া যাবেনা। এইসব সরকারি নথি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নাম অনুমোদন করা যাবে।
এতদিন দেখা যাচ্ছিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সহ এইসব নথি না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য অনেক আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। সেই কারণেই নিয়ম শিথিল করল রাজ্য সরকার। প্রতিটি জেলাগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য নাকি, তা খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। এইসব নথি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তবেই তাদের আবেদন অনুমোদন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
এরআগে বলা হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র নথিগুলি দেখাতে হবে। এরফলে দেখা যাচ্ছিল অনেকের কাছে এসবের মধ্যে কোনও একটি সরকারী নথি নেই, ফলে প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন পত্র অসম্পূর্ণ হয়েছিল।
প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ থেকে ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। এই আবেদনপত্র গুলি নিয়ে চিন্তায় ছিল নবান্ন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই ১ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা। এই প্রকল্পে সরকারের খরচ হয়েছে ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা।
Comments are closed.