এবার দুয়ারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এলাকার কাউন্সিলর বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে দিয়ে আসছেন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পুর এলাকায় অসুস্থ এবং বয়স্ক নাগরিকরা বাড়িতে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কাটোয়া পুরসভার কাউন্সলররা এই উদ্যোগ নিয়ে রীতিমত নজির গড়েছেন।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া পুর এলাকায় যে সমস্ত বয়স্ক এবংঅসুস্থ মহিলাদের লাইনে গিয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে দিচ্ছেন কাটোয়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে থাকছেন এলাকার কাউন্সিলররাও। তবে অসুবিধার কথা জানাতে হবে এলাকার কাউন্সিলদের। এরপর কাউন্সিলর নিজে গিয়ে স্বাস্থ্য় সাথী কার্ড করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
সম্প্রতি কাটোয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বয়স্ক মহিলার বাড়িতে গিয়ে সাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে এসেছেন ওই এলাকার কাউন্সিলর চৈতালী মিত্র ঠাকুর। প্রথমে পুরসভার কর্মীরা ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের সব কাজ করে আসে। এরপর কার্ড এলে কাউন্সিলর চৈতালী মিত্র ঠাকুর নিজে বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির লেখা শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধার হাতে।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে স্বাস্থ্য় সাথী কার্ড প্রকল্প চালু করেছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই প্রকল্পে বাড়ির মহিলাদের নামে থাকবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। যেকোনও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায় এই কার্ডে। প্রথমে বিরোধিরা এই কার্ডের সমালোচনা করলেও পরে দেখা তাবড় তাবড় বিরোধী নেতার বাড়ির সদস্যরা এই কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যের বাইরেও চিকিৎসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বহুবার।
Comments are closed.