ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের টাকা তোলার ওপর ঊর্ধ্বসীমা বেধে দিয়েছে আরবিআই। একদিকে ব্যাঙ্কের ভবিষ্যৎ আর অন্যদিকে গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতে খবর পাওয়া গেল, সংকট শুরুর মাত্র কয়েক মাস আগে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ১,৩০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিল অন্ধ্রের তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট।
অনেকে বলছেন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)-র নয়া প্রধান ওয়াই ভি শুভা রেড্ডির বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত, যা আর্থিক সংকটে পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে দেশের অন্যতম মন্দির পরিচালনাকারী ট্রাস্টকে। অন্যথায় ইয়েস ব্যাঙ্কে বিশাল অঙ্কের টাকা আটকে পড়ে থাকত।
বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) এক নির্দেশিকা জারি করে জানায়, আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আমানতকারীরা ৫০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না। আর ঠিক চার মাস আগে, গত বছরের অক্টোবর নাগাদ তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম তাদের ইয়েস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ হজার ৩০০ কোটি টাকা তুলে নেয়। বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী মন্দির- শ্রীভেঙ্কটেশ্বর মন্দির পরিচালনার ভার রয়েছে এই টিটিডি ট্রাস্টের হাতে।
ঠিক কী কারণে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাস্ট? তারা কী আঁচ পেয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্কের সংকটের কথা? ট্রাস্টের এক আধিকারিকের কথায়, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যে কয়েকটি অ্যাকাউন্টের টাকা অনেকদিন ছিল তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তুলে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করার কথা ভাবা হয়েছিল।
টিটিডি-র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ওয়াই ভি শুভা রেড্ডি এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ছিলেন বলে খবর। মোট চারটি ব্যাঙ্কে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি) -র আমানত রয়েছে। ওয়াই ভি শুভা রেড্ডি নাকী ওই সমস্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতি বুঝে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী একসঙ্গে এত টাকা তোলার সিদ্ধান্তে ইয়েস ব্যাঙ্ক বেঁকে বসলেও টিটিডি-র প্রধান নাছোড় ছিলেন। বৃহস্পতিবার ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের টাকা তোলায় ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ওয়াই ভি শুভা রেড্ডির ভূয়সী প্রশংসা করছে খোদ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। অন্ধ্র সরকারের উপদেষ্টা এস রাজীব কৃষ্ণ ট্যুইটারে লেখেন, টিটিডি চেয়ারম্যানের দূরদৃষ্টি ও সদিচ্ছার কারণে এতগুলো টাকা ইয়েস ব্যাঙ্কে আটকে থাকেনি।
Comments are closed.