সিবিআই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তৃণমূলের বিরোধ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত। দু’দিন আগেই সিবিআই নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, তাঁর ছবি, লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সিবিআই। ছবি বিক্রির কোনও টাকা তিনি নেননি। কেউ তা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র তহবিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের সহকর্মী মানিক মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। মূলত ‘জাগো বাংলা’র আয়, কীভাবে সেই আয় হয়, কত টাকা খরচ ইত্যাদি নিয়ে মানিক মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, দু’একদিনের মধ্যে তৃণমূলের রাজ্যসভার এক সাংসদকেও ডাকা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে সংসদ অধিবেশন চলছে, তা শেষ হলেই ‘জাগো বাংলা’র তহবিল নিয়ে আরও বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিতে রাজ্যসভার এক সাংসদকে ডাকা হবে।
সিবিআই-এর এই ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই জানিয়েছেন, যাঁকে খুশি সিবিআই ডাকতে পারে, তাতে কিচ্ছু এসে-যায় না। প্রতিবারই নির্বাচনের মুখে সিবিআই-এর তৎপরতা বাড়ে বলে অভিযোগ মমতার। বৃহস্পতিবারও বইমেলার উদ্বোধনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই ইস্যুতে কেন্দ্রের সরকারকে কটাক্ষ করেন।
সম্প্রতি সিবিআই বাংলা সিনেমার প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করেছে। তারপর শাসক দলের পক্ষে কেউ বিশেষ প্রতিক্রিয়া না দিলেও পরদিন পরপর ট্যুইট করে সিবিআইকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। লেখেন, মাথাহীন সিবিআই এখন মেরুদণ্ডহীন বিজেপিতে পরিণত হয়েছে। এর পরও তৃণমূলের রাজ্যসভার এক সাংসদকে তলব এবং সরাসরি মানিক মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী।
Comments are closed.