আজ-কালের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা। পুরুলিয়া জেলাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরে লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে কার্যত পর্যদুস্ত তৃণমূল কংগ্রেস। অতীতের ফলের দিকে না তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় কার্যক্রম বা জনসংযোগ সব কিছুতেই আত্মবিশ্বাসী পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ব্লক-শহর-অঞ্চল-ওয়ার্ড-বুথের কর্মী।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালী জানান, লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি দলীয় কর্মসূচি গৃহীত হয়, যেমন- ‘দিদি কে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ইত্যাদি। নবেন্দু বাবু আরও জানান, সরকার ও দল পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও কাটমানি সংক্রান্ত ইস্যু লোকসভা ও পঞ্চায়েত ভোটের ফল খারাপের অন্যতম কারণ। কিন্তু দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রকাশ্য জনসভায় কাটমানি ফেরতের কথা বলে স্বচ্ছতার এক চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ‘গাঁয়ে চলো অভিযান’ও জনমানসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি পরিষেবাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।
সূত্রের খবর, পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা থেকে বুথ অবধি নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ জায়গাতেই নেতৃত্বের ‘খোল-নলচে’ পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার একটি মাত্র বিধানসভা মানবাজার ছাড়া বাকি সব আসনে ব্যাপক ভোটে পিছিয়ে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এবারে নেতৃত্ব বদল সহ জনসমর্থন ফিরিয়ে আনার একাধিক স্ট্রাটেজি নিলেও, সুত্রের খবর গেরুয়া ঝড়ের ঘূর্ণি পিচে স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্হা আইপ্যাকের সার্ভের পরেও প্রার্থী পদে ব্যাপক হারে পরিবর্তনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, একমাত্র জয়পুর ও বাঘমুণ্ডি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হচ্ছে। বাঘমুণ্ডি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রী সুশান্ত মাহাতো এবং জয়পুর আসনে বিদায়ী বিধায়কের বয়সজনিত সমস্যার কারণে জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অথবা কুমার সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও যুব নেতৃত্ব প্রার্থী হতে পারেন।
Comments are closed.