ওয়েইসিকে রুখতে সর্বভারতীয় সংখ্যালঘু সংগঠনের সঙ্গে হাত মেলালো তৃণমূল

তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল হাত মেলালো অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অর্গানাইজেশন বা AIMO এর সঙ্গে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবে সংখ্যালঘুদের উন্নতির জন্য কাজ করা এই সর্বভারতীয় সংগঠন।
বিহারের ফলে উজ্জীবিত AIMIM প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন এবার টার্গেট বাংলা। বিহারে মহাজোটের ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিরোধীদের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে ওয়েইসির দল। বাংলাতে যাতে মিম একই খেলা খেলে তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গ না করতে পারে সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু হল। সূত্রের খবর, রাজ্যের সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবে AIMO।
তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের কার্যকরী সভাপতি তথা AIMO এর সর্বভারতীয় সভাপতি নাসির আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট সুসংহত করে তৃণমূলের তরফে নিয়ে আসা। সেই লক্ষ্যে মাঠে নামছেন তাঁরা।
সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫ টি আসন পেয়েছে মিম। পূর্ণিয়ার সীমানা পেরিয়ে বাংলার মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় মিম প্রার্থী দিতে পারে ধরে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই AIMO এর সঙ্গে হাত মেলানো।
মালদায় ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করে দিয়েছে AIMO। তৃণমূলের মালদার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলছেন, ওয়েইসি যে মুসলিমদের মসিহা নন বরং বিজেপির বি টিম, তা মানুষকে বোঝানো চলছে। তাঁদের জানানো হচ্ছে, মুসলিম তথা সংখ্যালঘুদের পক্ষে লড়াই করছেন মমতা। তাই ওয়েইসির ফাঁদে পা দিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবেন না, আবেদন মোশারফ হোসেনের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিহারে সফল হয়েছেন বলেই বাংলাতেও একই ফর্মুলায় বাজিমাত হবে, ওয়েইসি এমন মনে করলে বড়ো ভুল করবেন। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন বাংলাভাষী সংখ্যালঘুদের উপর হিন্দি-উর্দু সংখ্যালঘু সমাজের প্রভাব কম। ফলে রাতারাতি বাঙালিরা ওয়েইসিকে মসিহা ভেবে মমতা-সঙ্গ ত্যাগ করবেন, তা কার্যত অসম্ভব। যদিও তাতে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চায় না তৃণমূল। তাই বিহার ভোট মিটতেই মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।

Comments are closed.