ক্ষমতা বাড়ল মহুয়ার, অপসারিত অর্পিতা, রাজ্য কমিটিতে ছত্রধর, তৃণমূলের সর্বস্তরে ব্যাপক বদল! দেখুন পুরো তালিকা
২১ জুলাই শহিদ সমাবেশ থেকে জানিয়েছিলেন কয়েকদিনের মধ্যেই সংগঠনেও বদল আনা হবে। সেই ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করলেন মমতা ব্যানার্জি। ভরসা রাখলেন তারুণ্যে পাশাপাশি প্রয়োজনমাফিক দিলেন নবীন-প্রবীণের মিশেল। ক্ষমতা বাড়ল মহুয়া মৈত্র, লক্ষ্মীরতন শুক্লের। অপসারিত অর্পিতা ঘোষ। রাজ্য কমিটিতে ছত্রধর মাহাতো।
হাওড়া সদরে এতদিন তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ রায়। বিধানসভা ভোটের আগে পদ গেল তাঁর। তার বদলে হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি হলেন তরুণ মুখ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সাংগাঠনিক রদবদলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার থেকে পুরো নদিয়া জেলার সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন মহুয়া। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের শোচনীয় ফল হয়েছিল কোচবিহার জেলায়। সেখানেও সংগঠন ঢেলে সাজালেন মমতা। জেলা সভাপতির পদ হারালেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর জায়গায় কোচবিহারে এলেন অপেক্ষাকৃত তরুণ মুখ পার্থপ্রতিম রায়। অপসারিত হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষও। লোকসভায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছিল জঙ্গলমহলেও। এবার সেখানেও সংগঠন ঢেলে সাজালেন তৃণমূল নেত্রী। ঝাড়গ্রামের সভাপতি হচ্ছেন দুলাল মুর্মু, বাঁকুড়ায় শ্যামল সাঁতরা। পুরুলিয়ায় সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন গুরুপদ টুডু। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানে সভাপতি হলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল সভাপতি হলেন আবু তাহের খান। অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের জেলা সভাপতি থাকছেন, জেলার চেয়ারম্যান হচ্ছেন আশিষ ব্যানার্জি। দার্জিলিং জেলায় সভাপতি পদে গৌতম দেবের জায়গায় এসেছেন রঞ্জন সরকার।
এতদিন বিভিন্ন জেলার জন্য পর্যবেক্ষক থাকত তৃণমূলের। এবার সেই অবজার্ভার পদ তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে ৭ জনের কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সেই কমিটিতে আছেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চ্যাটার্জি, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক ব্যানার্জি, ফিরহাদ হাকিম, শান্তা ছেত্রী ও কল্যাণ ব্যানার্জি। তবে গোটা রদবদলে সবচেয়ে বড় চমক সম্ভবত ছত্রধর মাহাতোর অন্তর্ভুক্তি। তাঁকে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে এসেছেন মমতা। এছাড়াও রাজ্য কমিটিতে এসেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি, বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক তাপস রায় প্রমুখ। কলকাতা উত্তর জেলায় চেয়ারম্যান করা হয়েছে স্থানীয় সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জিকে। তবে আপাতত তাঁকেই সভাপতির দায়িত্বও সামলাতে হবে। দক্ষিণ কলকাতার চেয়ারম্যান হয়েছেন মণীশ গুপ্ত। দেবাশিস কুমারই থাকছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের সভাপতি।
Comments are closed.