ভাটপাড়া পুরসভায় ১৯-০ ব্যবধানে বিজেপিকে ধরাশায়ী করল তৃণমূল। সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার আরও এক পুরসভা চলে এল তৃণমূলের হাতে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের তত্ত্বাবধানে আস্থাভোট সম্পন্ন হয়। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রথম থেকেই সজাগ ছিল পুলিশ প্রশাসন। পুরসভা এলাকায় জারি ছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু আস্থাভোটে কোনও বিজেপি কাউন্সিলর অংশ না নেওয়ায় বিনা যুদ্ধে জয় পেল তৃণমূল। সেই সঙ্গে হাতছাড়া হওয়া আরও এক পুরসভার পুনরুদ্ধার করল তারা। বিজেপি এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হলেও তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল বিজেপির। কিন্তু সোমবারই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ মঙ্গলবারেই অনাস্থা বৈঠক করতে হবে। বিজেপির আপিলের শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌরভ সিংহ ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসককে অনাস্থা বৈঠকের নোটিস পুরসভার বোর্ডে প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ভাটপাড়া পুরভবনে জেলা শাসকের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার বেলা ১ টায় বৈঠক করার কথা বলা হয়।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর থেকেই ভাটপাড়া পুরসভার দখল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের হাত ধরে তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর বিজেপিতে চলে যান। জেলার একাধিক পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়। সেগুলি ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয় তৃণমূল। শুরু হয় তৃণমূলত্যাগী কাউন্সিলরদের আবার দলে ফেরানোর তোড়জোড়। এই পরিস্থিতিতে গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌরভ সিংহের বিরুদ্ধে ১৮ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস দেন। এরপর নানা চাপানউতোরে বৈঠকের দিন স্থির হয়েছিল ২ জানুয়ারি। ওই দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অনাস্থার নোটিসকে অনৈতিক বলে অভিযোগ করে চেয়ারম্যানের পক্ষের বিজেপি কাউন্সিলররা হাইকোর্টে মামলা করেন। প্রথম আপিল খারিজ হওয়ার পরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের আবেদন করেন তাঁরা। সেই আপিলও সোমবার খারিজ করে দিয়ে আদালত জানায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যদি কারও উপর আস্থা না থাকে, তাহলে তাঁর উচিত তাঁর উপর কতখানি আস্থা আছে, তা পরীক্ষা করে নেওয়া। সেই জন্যই মঙ্গলবার এই আস্থা ভোটের নির্দেশ বলে জানায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন বিজেপি কাউন্সিলররা
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হলেও তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল বিজেপির। কিন্তু সোমবারই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ মঙ্গলবারেই অনাস্থা বৈঠক করতে হবে। বিজেপির আপিলের শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌরভ সিংহ ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসককে অনাস্থা বৈঠকের নোটিস পুরসভার বোর্ডে প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ভাটপাড়া পুরভবনে জেলা শাসকের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার বেলা ১ টায় বৈঠক করার কথা বলা হয়।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর থেকেই ভাটপাড়া পুরসভার দখল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমানে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের হাত ধরে তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর বিজেপিতে চলে যান। জেলার একাধিক পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়। সেগুলি ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয় তৃণমূল। শুরু হয় তৃণমূলত্যাগী কাউন্সিলরদের আবার দলে ফেরানোর তোড়জোড়। এই পরিস্থিতিতে গত ৬ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌরভ সিংহের বিরুদ্ধে ১৮ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস দেন। এরপর নানা চাপানউতোরে বৈঠকের দিন স্থির হয়েছিল ২ জানুয়ারি। ওই দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অনাস্থার নোটিসকে অনৈতিক বলে অভিযোগ করে চেয়ারম্যানের পক্ষের বিজেপি কাউন্সিলররা হাইকোর্টে মামলা করেন। প্রথম আপিল খারিজ হওয়ার পরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের আবেদন করেন তাঁরা। সেই আপিলও সোমবার খারিজ করে দিয়ে আদালত জানায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যদি কারও উপর আস্থা না থাকে, তাহলে তাঁর উচিত তাঁর উপর কতখানি আস্থা আছে, তা পরীক্ষা করে নেওয়া। সেই জন্যই মঙ্গলবার এই আস্থা ভোটের নির্দেশ বলে জানায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন বিজেপি কাউন্সিলররা
Comments are closed.