শহরে টলিউড তারকাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। আর এই বৈঠকের পরই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ? মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। সোমবার নিউ আলিপুর চত্বরের বিলাসবহুল এক হোটেলের সামনে টলিউডের তারকাদের দেখা যায়। সেখানেই টলি শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ‘দ্য ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’ (এনএফডিসি)-র উদ্যোগে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সূত্রের খবর, বৈঠক থেকে উঠে এসেছে আঞ্চলিক সিনেমার উন্নতি,বাংলা সিনেমার বিনিয়োগ, রাজ্যের হলগুলির পরিস্থিতির মত বিষয়। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের নামে একটি পুরষ্কার চালু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরণের উদ্যোগ আগে দেখা যায়নি। যা এখন ভোটের আগে হচ্ছে। সেই কারণেই বৈঠকের পরই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
[আরও পড়ুন- চাঞ্চল্যকর VIDEO শেয়ার নুসরতের, টাকা দিয়ে মোদীর সভায় মাঠ ভরিয়েছে বিজেপি!]
শহরের নামী হোটেলে অনুষ্টিত এই বৈঠকে ছিল না কোনওরকম মিডিয়ার প্রবেশ। বিজেপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছিল, এটা কোনও দলীয় সভা নয়। সকলকে সরকারীভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিজেপি আরও দাবি করে, সিনেমা সংক্রান্ত নিছক আলোচনার জন্যই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই অরাজনৈতিক বলেও পরিচিত। এদের মধ্যে বিজেপির ঘনিষ্ঠরা যেমন ছিলেন, তেমন তৃণমূল শিবিরের পরিচিত মুখ হিসেবেও অনেকে ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন আবীর চ্যাটার্জি, গৌতম ঘোষ, পাওলি দাম, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো বিশিষ্টজনেরা। এদের মধ্যে আবীর চ্যাটার্জি, পাওলি দাম রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখেন বরাবরই। অন্যদিকে তনুশ্রী চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক তথা বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন অনীক দত্ত, মমতাশঙ্কর, অশোক বিশ্বনাথন, চূর্ণী গাঙ্গুলি, অনিন্দ্য চ্যাটার্জি, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া যশ দাশগুপ্তের বান্ধবী পুণম ঝাঁ। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত হাজির ছিলেন বৈঠকে। বিজেপির পরিচিত মুখ বাবুল সুপ্রিয়, রুপা গাঙ্গুলি, রুদ্রনীল ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় জানান, এখানে কোনও রাজনীতির রঙ নেই। সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা তৃণমূলের কাজ, বিজেপির নয়।
আমন্ত্রিত ছিলেন মহেন্দ্র সোনি, নিসপাল সিং, অশোক ধানুকার মত টলিউডের প্রথম সারির প্রযোজকরা। এসভিএফ-এর অন্যতম কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতার জামিন ইতিমধ্যেই তাঁর বিজেপিতে ঝোঁকার একটা ইঙ্গিত। সেই পরিস্থিতিতে এসভিএফ কর্তা মহেন্দ্র সোনির বৈঠকে যোগদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
বিশিষ্ট পরিচালক অরিন্দম শীলের গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার কথা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন অরিন্দম। যদিও বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, ইন্ডাষ্টি নিয়ে জরুরি কিছু আলোচনা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এখন কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।
Comments are closed.