শাহিন বাগের বন্দুকবাজ কি আপ কর্মী? কপিল গুজ্জরের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কেজরিওয়াল-বিজেপি তরজা

শাহিন বাগে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে দিল্লির রাজনীতি। বিজেপি ও আম আদমি পার্টি দুই পক্ষই একে অপরকে এই ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দাবি করছে। এদিকে দিল্লি পুলিশের দাবি খারিজ করে অভিযুক্ত কপিল গুজ্জরের সঙ্গে আম আদমি পার্টির সম্পর্কের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে তার পরিবার।
গত ১ ফেব্রুয়ারি শাহিন বাগে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগে কপিলকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসাররা দাবি করেন, গুজ্জর আম আদমি পার্টিরই সদস্য। অভিযুক্তের ফোন থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ও উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক ছবি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি। ওই দলের সাংসদ মীনাক্ষী লেখির অভিযোগ, ছবি থেকে পরিষ্কার কপিল আপের সদস্য। আপ নেতা অতিশি ও সঞ্জয় সিংহ তাকে দলে ঢোকান বলে অভিযোগ মীনাক্ষীর। দলের আর এক নেতা রমেশ ভাদুড়ির অভিযোগ, আম আদমি পার্টি পরিকল্পনামাফিক এই গুলি চালিয়েছে। দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির দাবি, সঞ্জয় সিংহই কপিলকে দলে ঢোকান এবং শাহিন বাগের ঘটনা স্রেফ আপের ষড়যন্ত্র।
এদিকে কপিলের পরিবারের দাবি, লোকসভা ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারের সময় আপ নেতারা তাঁদের বাড়িতে আসেন। এই ছবি সেই সময়ের। কপিলের বাবা গাজে সিংহ জানান, তিনি বা তাঁর পরিবার আদৌ দিল্লির শাসকদলের সমর্থক নন। তিনি বসপা-র হয়ে ২০১২ সালে ভোটে লড়ে হেরে যান। তারপর রাজনীতির আশেপাশে যাননি। তাঁর এও দাবি, বিজেপি থেকে নির্বাচনী প্রচারে এলেও তিনি নেতাদের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয় না, তিনি বিজেপি করেন। এটাই সৌজন্য বলে মন্তব্য করেন শাহিন বাগে গুলি চালানো কপিলের বাবা।
অভিযুক্তের পরিবারের এই বিবৃতির পরই দিল্লি পুলিশ ও বিজেপিকে নিশানা করেন আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ। তাঁর অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল শাহিনবাগের ঘটনাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে তাঁকে বিজেপি নেতারা যে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিচ্ছেন, তার তীব্র নিন্দা করেছেন কেজরিওয়ালের মেয়ে এবং স্ত্রী।

Comments are closed.