মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে লিগের লড়াইয়ে মহামেডান, দীপেন্দুর হাতে নতুন উদ্দীপনায় সাদা-কালো শিবির

কলকাতা লিগের প্রথম মিনি ডার্বি যেন গোলের উৎসব। পাঁচটি গোল হল। আর নষ্ট হল অসংখ্য গোলের সুযোগ। আর সেই ম্যাচেই মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারাল মহামেডান স্পোর্টিং। এই জয়ের ফলে লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে দারুণভাবে ফিরে এলো সাদা-কালো ব্রিগেড। অন্যদিকে বড়সড় অঘটন না হলে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ মোহনবাগানের। এদিন মহামেডান স্পোর্টিং-এর হয়ে দুরন্ত খেললেন বাঙালি মিডফিল্ডার তীর্থঙ্কর সরকার। এদিন মহামেডানের হয়ে তিনটি গোল করেন করিম ওমোলজা, তীর্থঙ্কর সরকার এবং জন চিডি। মোহনবাগানের গোলদাতা বেইতিয়া এবং সালভা চামোরো। এই জয়ের পরে ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে মহামেডান স্পোর্টিং। ৯ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ১৪। লিগের লড়াই থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেল মোহনবাগান।
এদিন অন্য ম্যাচে ভবানীপুরকে ২-০ গোলে হারাল পিয়ারলেস। এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে রইল তারা। তাদের হাতে আর তিনটি ম্যাচ। সেই তিনটি ম্যাচে খুব খারাপ না খেললে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সব থেকে বেশি সম্ভাবনা পিয়ারলেসের।
মিনি ডার্বির প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচের ফয়সালা হয়ে যায়। দু’গোলে এগিয়ে যায় মহামেডান। ৭ মিনিটের মাথায় তীর্থঙ্কর সরকারের কর্নার থেকে সাদা-কালোকে এগিয়ে দেন করিম। ৪ মিনিটের মধ্যে আবার গোল। বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে ২-০ করেন তীর্থঙ্কর সরকার। মোহনবাগানের হয়ে একা কিছুটা লড়াই চালাচ্ছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বেইতিয়া। ২৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ফ্রিকিকে ব্যবধান কমান বেইতিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গত ম্যাচের নায়ক শুভ ঘোষকে মাঠে নামান মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা। তাও ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। বরং ৬৩ মিনিটে আবার গোল করে মহামেডান স্পোর্টিং। পিছনে সেই তীর্থঙ্কর সরকার। তীর্থঙ্করের জোরালো শট দেবজিৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন। ছিটকে আসা বল গোলে ঠেলেন চিডি। ৭১ মিনিটে বেইতিয়ার ফ্রিকিক থেকে গোল করে মোহনবাগানকে লড়াইয়ে ফেরান সালভা। তবে তাতে লাভের লাভ হয়নি। বরং মহামেডান ফুটবলাররা বেশ কয়েকটা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বড় লজ্জার মুখে পড়তে হোত মোহনবাগানকে। ম্যাচের পর মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ম্যাচটাই এই মরসুমে খেলা তাদের সবথেকে খারাপ ম্যাচ।

Comments are closed.