বাঘের গলায় রেডিয়ো কলার! সুন্দরবন অভয়ারণ্য নজরদারিতে অভিনব উদ্যোগ বন দফতরের

সুন্দরবনে বাঘের গতিবিধি জানতে এবং মানুষ ও বাঘের মধ্যে সংঘাত কমাতে অভিনব পদক্ষেপ করল রাজ্য বন দফতর। রবিবার একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গলায় রেডিও কলার লাগিয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট রেঞ্জের হরিখালি বিটে ছেড়ে দেওয়া হল সেটিকে। এতে রেডিয়ো ট্রান্সমিটারের সাহায্যে ওই বাঘটির গতিবিধি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। এই উদ্যোগে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (WWF)- এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বন দফতর।স্যাটেলাইট মাধ্যমে ওই বাঘের কাছ থেকে সংগৃহীত সব তথ্য দেওয়া হবে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কাছে।
এতে কী সুবিধা হবে?
সুন্দরবন অঞ্চলে মানুষ- বাঘে সংঘাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে কিংবা মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারাতে হয় সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারী ও মৎস্যজীবীদের। ২০১৫ থেকে ‘১৯ সালের মধ্যে বাঘের হানায় রাজ্যে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য বন দফতরের ডিসেম্বরের ২৬ ও ২৭ তারিখ সুন্দরবন ব্যঘ্র প্রকল্পের বসিরহাট রেঞ্জের হরিখালি বিটে অভিযান চালানো হয়। এরপর একটি ৭ বছরের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গলায় ওই রেডিও কলার লাগিয়ে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপাল ভি কে যাদব বলেন, এর মাধ্যমে পুরো অভয়ারণ্যের উপরেই নজরদারি চালানো যাবে। শুধু বাঘ কীভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, তা জানাই নয়, বনের ভিতরে অন্য কী ঘটনা ঘটছে, তার উপরেও রেডিও কলারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো যাবে। রবিবারের এই কর্মসূচিতে বিনোদ যাদব ছাড়াও হাজির ছিলেন সুন্দরবন ব্যঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস। তিনি বলেন, এই কর্মসূচিতে রেডিয়ো টেলিমেট্রিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে এই রকম উদ্যোগ এই প্রথম বলে জানান বন দফতরের কর্তারা।

Comments are closed.