বিজেপির মোকাবিলায় দলের হিন্দি সেলকে সক্রিয় করল তৃণমূল, দীনেশ-বিবেক গুপ্তাকে মাথায় রেখে একাধিক কর্মসূচি

হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলায় ‘হিন্দি সেল’ গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। হিন্দি দিবসে সমস্ত ভাষাভাষীর মানুষের একতা বজায় রাখা এবং মাতৃভাষার অধিকার ধরে রাখার ডাক দিলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, বিবেক গুপ্তরা। পাশাপাশি দাবি তুললেন, জয়েন্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে স্থান দিতে হবে বাংলা ভাষাকে, ক্ল্যাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবেও বাংলাকে দিতে হবে মর্যাদা।
তৃণমূল কংগ্রেসের হিন্দি সেলের চেয়ারম্যান হয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী এবং সভাপতি বিবেক গুপ্তা।
সোমবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সাংবাদিক বৈঠক করেন দীনেশ ত্রিবেদী ও বিবেক গুপ্ত। তাঁরা জানান, সারা রাজ্যে হিন্দিভাষী মানুষকে একত্রিত করা, তাঁদের সুবিধা, অসুবিধা জেনে তার সুরাহার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে হিন্দি সেল। আগামী দিনে জেলা থেকে ব্লক স্তরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনই হবে এর লক্ষ্য। বিধানসভা ভোট সামনে রেখে অবাঙালি ভোট টানতেই কি তৃণমূলের এই উদ্যোগ? দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি, ভাষা এক প্রদেশের মানুষকে অন্য প্রদেশের সঙ্গে জোড়ে। ভাষা নিয়ে রাজনীতি করা তাঁদের মোটেই উদ্দেশ্য নয়, বরং এই মঞ্চ থেকেই বাংলা ভাষাকে ক্ল্যাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে মান্যতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। আগামী বছর থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলায় করার দাবি জানান দীনেশ ত্রিবেদী। আর সাংসদ বিবেক গুপ্তের কথায়, হিন্দিভাষী হলেও আদতে তিনি বাঙালি। বাংলার মাটি তাঁর জন্ম ও কর্মভূমি। বাংলার মাটিতে সব ভাষাভাষীর মানুষ যাতে নিজেদের মাতৃভাষা ব্যবহার ও প্রয়োগের জায়গা পায় সেটাই তাঁদের লক্ষ্য।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর উদ্যোগে এই হিন্দি সেল গঠন করা হয়েছে। এই সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতা এবং শহরতলির পাশাপাশি গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা বহু সংখ্যক অবাঙালি মানুষকে তৃণমূলের সংস্পর্শে নিয়ে আসাই প্রধান লক্ষ্য এই হিন্দি সেলের।
মমতা ব্যানার্জি এদিন হিন্দি দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইটারে লেখেন, রবীন্দ্রনাথের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের আদর্শে উদ্বুদ্ধ বাংলা। হিন্দি শিক্ষা এবং বাংলায় বসবাস করা হিন্দি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর সরকার।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮ টি আসন পাওয়ার পর থেকে অনেকটাই উদ্বিগ্ন তৃণমুল। হিন্দিভাষীদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় বিধানসভার আগে রাজ্যে শাসক দলও কোনও ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না। হিন্দিভাষীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারে চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চাইছে না তৃণমূল।

Comments are closed.