সরকারি সাহায্য না পেয়ে ২৩ শিশুকে পণবন্দি করেছিল জামিনে মুক্ত খুনের আসামী!

প্রায় নয় ঘণ্টার লড়াই চালিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পণবন্দি ২৩ জন শিশুকে খুনের আসামীর হেফাজত থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করল। পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে সুভাষ বাথাম নামে ওই ব্যক্তি। তার ছোড়া গুলিতে জখম হন দুই পুলিশ কর্মীও। প্রতিবেশীদের মারে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুভাষ বাথামের স্ত্রীকে। শুক্রবার দুপুরে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে।

ক’দিন আগেই জেল থেকে জামিনে মুক্তি পায় খুনের আসামী সুভাষ বাথাম।

পুলিশ জানায়, এক বছরের মেয়ের জন্মদিনের কথা বলে ফারুকাবাদের কাঠারিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে প্রতিবেশী ২৩ টি শিশুকে নিয়ে আসে সুভাষ। অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও শিশুরা বাড়ি না ফেরায় কয়েকজন অভিভাবক বাচ্চাদের খোঁজে তার বাড়িতে যান। তখন বাড়ির ছাদ থেকে সুভাষ গুলি চালায়। অভিভাবকরা বুঝে যান, বাচ্চাদের পণবন্দি করা হয়েছে। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সুভাষের সঙ্গে আলোচনায় বসে শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। ঘণ্টা সাতেক পর সে একটি শিশুকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ জানতে পারে, বেসমেন্টে শিশুদের আটকে রাখা হয়েছে। রাতে দরজা ভেঙে পুলিশ ভিতরে ঢোকে। তখন সুভাষ ফের গুলি চালায়। শেষে পুলিশ শিশুদের উদ্ধার করে বেসমেন্ট থেকে।
ওই শিশুদের কেন পণবন্দি করা হয়েছে, তা জানিয়ে এক গ্রামবাসীর মাধ্যমে সুভাষ টাইপ করা একটি চিঠি পাঠিয়েছিল জেলা শাসককে। তাতে তার দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি এবং শৌচাগারের জন্য সে একাধিকবার দরবার করেও কিছু সুরাহা করতে পারেনি। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সে এই কাজ করেছে।

যোগী আদিত্যনাথের সরকার উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

Comments are closed.